কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গালামালের দোকানসহ বিভিন্ন দোকান গুলোতে মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্যসামগ্রী বিক্রি হচ্ছে দেখার কেউ নেই।
ফলে মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য ক্রয় করে একদিকে হচ্ছে প্রতারিত অপর দিকে এসব খাদ্যপণ্য খেয়ে মানুষের নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
বিশেষ করে গালামালের দোকানে, রুটি-বিস্কুট, কেক, আটা-ময়দা, জুস, লুডুসসহ অধিংশা প্যাকেটজাত পণ্য গুলো।
মঙ্গলবার উপজেলার মাগুড়া বাসষ্ট্যান্ড রেয়াজুল স্টোর প্রোঃ রেয়াজুল হক জানান স্থানীয় আরিফ নামের এক পরিবেশক আমার দোকানে প্রাণ কোম্পানীর ওয়ান্ডার টুইংকি প্যাকেটজাত কেক দেন তার কিছুক্ষন পর একজন গ্রাহক সেই কেক ক্রয় করলে দেখতে পান ১৩/০৩/২০২৩ তারিখের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে।
পরে ওই পরিবেশককে ফেরৎ দিতে চাইলে তিনি ফেরৎ নিতে অস্বীকৃতি জানান। শুধু আরিফ নন স্থানীয় হাট-বাজার গুলোতে বিভিন্ন কোম্পানির পরিবেশকের গাড়ীগুলো থেকে অধিকাংশ সময় মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য দোকানদারদের নিকট চালিয়ে দিচ্ছেন।
আবার দেখা যায় একাধিক দোকানদার দীর্ঘদিন ধরে পণ্যটি বিক্রি করতে না পারায় মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে কিন্ত দেখার পরও পণ্যটি র্যাক থেকে না সরিয়ে সাধারণ গ্রাহকদের মাঝে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন। তবে সচেতন মহল মনে করেন উপজেলা প্রশাসন এসব বিষয়গুলো দেখভাল করার দায়িত্ব থাকলেও তারা দেখেন না এবং বছরে ২/৪ বার ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তাদের দায়িত্ব শেষ করেন। কিশোরগঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের হাট-বাজার গুলোর গালামালের দোকান,মুদি দোকান, চা বিস্কুটের দোকান গুলোতে বেশীরভাগ মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য দেখা যায়।
এসব দোকানদার (ব্যবসায়ী) জেনে ও না জানার ভান করে কোন রকম চালিয়ে দিতে পারলে তারা বেঁচে যায়। যেসব পণ্যের মেয়াদ উত্তীর্ণ বেশীগ সময় লক্ষ্য করা গেছে কোমলপানীয়, প্যাকেটজাত আটা, ময়দা, সুজি, সোয়াবিন তেল, রুটি,বিস্কট, শিশু খাদ্য তার মধ্যে অন্যতম। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সানজিনা রহমান এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে বলেন যদি চলমান কোন দোকানে থাকে তাহলে পণ্য গুলো আলাদা করে রাখতে হবে আর যদি কোন ব্যবসায়ী জানার পরও চালিয়ে দেবার চেষ্টা করে সেটি অপরাধ, এছাড়া একান্ত কোন তথ্য জানা থাকলে বললে আমরা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করব।