কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ  নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ যৌতুকের কারনে স্ত্রীকে পিত্রালয়ে রাখিয়া শ্বশুরের উপর পাল্টা ছিনতাইয়ের অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে ৬ আগষ্ট/২০২১ইং তারিখে সকাল ১০টায় উপজেলার গাড়াগ্রাম বাস ষ্ট্যান্ডে। জানাযায় মাগুড়া ইউনিয়নের মিয়া পাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের কন্যা মোছাঃ মিম আক্তার (১৯) এর সাথে গত ৬ মে/২০২০ইং তারিখে গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের পশ্চিম দলিরাম ছয়ঘড়িয়া গ্রামের এরশাদুল হকের ছেলে সুজন মিয়া (২১) বিয়ে হয়। বিয়ের পর যাবতীয় পাওনাদি পরিশোধ করে দেয় শ্বশুর আব্দুর রশিদ। তার পর স্ত্রী নিয়ে সুজন মিয়া ঢাকা চলে যান এবং ঘর সংসার করতে থাকেন। কিছু দিন পর মেয়ের বাবা আব্দুর রশিদ মেয়ে মিম আক্তারকে আনার জন্য ঢাকা গেলে মেয়ের নিকট থেকে শুনতে পায় তার স্বামী তার উপর যোতুকের জন্য প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন করেন এবং ঠিক মতো খাবার দাবার দেননা। তখন নিরুপায় হয়ে মেয়ে মিম আক্তারকে নিয়ে আসতে চাইলে তাহার জামাই বলেন মেয়েকে নিয়ে গেলে একেবারে তালাক দিয়ে নিয়ে যান। পরে মেয়ে মিম আক্তারকে ছেড়ে জামাই এর বাসা থেকে বের হয়ে এসে সাভার মডেল থানায় একটি সাধারন ডাইরী করেন যাহার নং-৫৫১, তারিখ-১২/১১/২০২০ইং বাড়ি চলে আসেন। তার একমাস পর ঢাকা থেকে মেয়েকে নিয়ে জামাই তার গ্রামের বাড়ি গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের পশ্চিম দলিরাম ছয়ঘড়িয়া নিয়ে আসেন। কিছু দিন জামাই এর বাড়িতে থাকার পর মিম আক্তার পিত্রালয় মাগুড়া মিয়া পাড়ায় চলে আসেন। পিত্রালয়ে কিছু দিন থাকার পর জামাই সুজন মিয়া তার স্ত্রীকে নিয়ে আবার ঢাকা চলে যায়। ঢাকা নিয়ে বেশ কিছুদিন থাকার পর আবারও অন্যায় অত্যাচার শুরু করেন এবং পুনরায় ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসার সময় গাড়াগ্রাম বাসষ্ট্যান্ডে নামলে শ্বশুর আব্দুর রশিদকে তার মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার জন্য মোবাইল করেন। সংবাদ পেয়ে শ্বশুর আব্দুর রশিদ গাড়াগ্রাম বাসষ্ট্যান্ডে পৌছিলে মাগুড়া এলাকার ছাবের আলী, আইয়ুব আলী ও সেল্টু মিয়ার উপস্থিতিতে মেয়ে মিম আক্তারকে নিয়ে আসেন এবং জামাই সুজন মিয়া বাড়ি চলে যান। বাড়ি গিয়ে গত ০৭/০৮/২০২১ইং তারিখে গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদে মীম আক্তার, তার পিতা- আব্দুর রশিদ ও মা বেবী বেগমের বিরুদ্ধে একটি ৬০৫০০/- টাকা কেড়ে নেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ করেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে