জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ নীলফামারী কিশোরগঞ্জে পিছিয়ে পড়া গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর নারীদের ক্ষমতায়নে আত্ম স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে কাজ করছে বৃহত্তর রংপুর জেলার “দারিদ্র হ্রাসকরণ শীর্ষক প্রকল্প” বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড। এ প্রকল্পের আওতায় রেশমের গুটি উৎপাদনে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বিনামূল্যে বিতরণের পাশাপাশি সরকারী রাস্তার ধারে তুঁত গাছ রোপণ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

দেওয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় পরামর্শও।এতে করে রেশম চাষ করে উপজেলার বিভিন্ন ব্লকে প্রায় শতাধিক হতদরিদ্র পরিবারের গ্রামীণ নারীর স্বচ্ছলতা এসেছে। বিনা খরচে অধিক লাভ হওয়ায় অন্য নারীরাও এগিয়ে আসছেন রেশম চাষে। সৈয়দপুর রেশম সম্প্রসারণ কেন্দ্রের উদ্যোগে রেশম পোকা খাবারের জন্য পুটিমারী ইউপি’র কিশোরগঞ্জ- টেংগনমারী রাস্তার দু’ ধারে সারিবদ্ধ ভাবে প্রায় ৫ কিঃমিঃ এলাকা জুড়ে তুঁত গাছ রোপন করা হয়েছে।বাড়ি বাড়ি তৈরি করে দেয়া হয়েছে ৩০থেকে ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে পলু ঘর।প্রতিটি বাড়িতে রেশম পোকা বিতরণ থেকে গুটি তৈরি পর্যন্ত সব কিছু তদারকি করছেন রেশম বোর্ড।পরে উৎপাদিত গুটির মানভেদে সরকারী মূল্যে ৩ থেকে ৪ শত টাকা কেজি দরে কিনে নিচ্ছেন তারা।সরেজমিনে জানা গেছে,শ্রমের উপর নির্ভরশীল সংসারে অভাব-অনটন লেগেই থাকত পুটিমারী কালিকাপুর ডাঃপাড়া গ্রামের মর্জিনা,শাপলা ও বড়ভিটা চেয়ারম্যান পাড়ার মাহমুদা বেগমের পরিবারে। পরে রেশম বোর্ডের উদ্বুদ্ধকরণে কয়েক বছর আগে সরকারি প্রশিক্ষণ নিয়ে শুরু করেন এর চাষাবাদ। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই তাদের সংসারে সচ্ছলতা ফিরে আসে।

তারা জানান,আমাদের মত বাকি পরিবার গুলো বছরে ভাদুরী,অগ্রাহনী, চৈতা, জ্যৈষ্ঠা ৪বার রেশমের গুটি উৎপাদন করে কম বেশি লক্ষাধিক টাকার মতো সংসারে জোগান দিচ্ছেন। সৈয়দপুর রেশম সম্প্রসারণ কেন্দ্রের ম্যানেজার রেজাউল করিম জানান,দারিদ্রতা হ্রাসকরণে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সড়ক, পুকুর পাড়,পরিত্যক্ত জায়গায় রেশম চাষ করে গ্রামের নারীরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন।তিনি আরো জানান,কিশোরগঞ্জের ন্যায় বৃহত্তর রংপুরের ৮টি জেলায় এর চাষাবাদ দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে