কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী থেকেঃ নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের উপর বয়ে যাওয়া ফাল্গুনের ঝড়ের সাথে শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এতে বিঘার পর বিঘা ফসলশুণ্য মাঠ দেখে কৃষকের মাঝে নেমে এসেছে হতাশার ছাপ। শুক্রবার বিকেলে আকস্মিকভাবে প্রবল বেগে ঝড়ো হাওয়ার সাথে শিলা বৃষ্টি শুরু হয়।
এতে ভুট্টা, তামাক, আলু, রসুন, পেঁয়াজ, মরিচসহ উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির পাশাপাশি আম-লিচুর মুকুল ঝড়ে যাওয়াসহ গাছপালার ডাল ভেঙ্গে টিনের বাড়ি-ঘরের চালা লন্ডভন্ড হয় বলে জানান কৃষকরা।
সরেজমিনে মাগুড়া, বাহাগিলি, বড়ভিটা, নিতাই ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, শিলাবৃষ্টিতে ওই সব এলাকায় বিঘার পর বিঘা জমির মৌশুমী ফসল একেবারে মাটির সঙ্গে মিশে গিছে।
বিশেষ করে অন্যান্য ইউনিয়নের মধ্যে মাগুড়া ইউনিয়নে স্মরণকালের উপর্যুপরি শিলাবৃষ্টির আঘাতে তামাক পাতা ঝাঁজড়া হওয়াসহ, ভুট্টা, আলু,রসুন, পেঁয়াজ, মরিচ,শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এসময় শিলাবৃষ্টিতে রাস্তাঘাট ফসলের মাঠ, বাড়ি-ঘর বরফ দিয়ে ঢাকা পড়ে। অনেকে তড়িঘড়ি করে কোদাল, বেলচা দিয়ে বাড়ি-ঘর,রাস্তার স্তুপকৃত শিলাবৃষ্টি সরিয়ে ফেলেন।
মাগুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান মিঠু জানান, ব্যাপক হারে শিলা বৃষ্টি হওয়ায় এ এলাকার শত শত হেক্টর জমির উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এ ক্ষয়ক্ষতি পুশিয়ে নেওয়ার মত নয়। তবে এমন বরফের স্তুপ আগে কখনো দেখেননি।উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান জানান,ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্ধারণের কাজ চলছে।তবে শিলাবৃষ্টিতে তামাক, ভুট্টা, কাঁচা মরিচ এর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।