মাফি মহিউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসকের করোনা পজেটিভ হওয়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকা লকডাউন ঘোষনা করার পাশাপাশি চিকিৎসকের রোগী দেখার চেম্বার, দোকান মালিক, সিনিয়র ষ্টাপ নার্স ও কয়েকজন রোগীর বাড়ি লকডাউন ঘোষনা করে বাড়িতে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
এছাড়া ঢাকা, নারায়নগঞ্জসহ বাইরের জেলা থেকে আসা ১৮০জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে ইউনিয়ন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটি।
এ ব্যাপারে চাঁদখানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজার রহমান জানান, গতকাল বুধবার আমার ইউনিয়নের দুই ব্যাক্তি বেলা ২ টার সময় কিশোরগঞ্জ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরার কয়েক ঘন্টা পর সংবাদ পাই কিশোরগঞ্জ হাসপাতালের এক চিকিৎসক করোনা ভাইরাসে আক্লান্ত তাই হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া ওই দুইজন রোগীর বাড়ি লকডাউন ঘোষনা করে বাড়িতে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা থেকে বাড়িতে আসা ৫০জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বাহাগিলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান শাহ দুলু জানান, করোনা ভাইরাসে আক্লান্ত ডাক্তার যে দোকানে বসে রোগী দেখতেন সেই দোকানদারের বাড়ি এবং এলাকাবাসীর চাপে নারায়নগঞ্জ ফেরৎ একজনের বাড়ি লকডাউন ঘোষনা দিয়ে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাইরের জেলা থেকে আসা ৪০ জনকে হোম কোয়ারেনন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছি।
গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মারুফ হোসেন অন্তিক জানান, কিশোরগঞ্জ হাসপাতালের চিকিৎসক করোনা ভাইরাসে আক্লান্ত হওয়ার পর ওই হাসপাতালে কর্মরত একজন স্বাস্থ্যসেবি এবং আমার ইউনিয়নের এক বাসিন্দার বাড়ি লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। এয়াড়াও হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১০ জন।
কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনিছুল ইসলাম আনিছ বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্লান্ত চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেওয়া আমার ইউনিয়নের এক বাসিন্দার বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বাইরের জেলা থেকে আসা আমার ইউনিয়নের ৮০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
মাগুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান শিহাব বলেন, মাগুড়া ইউনিয়নের হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১৫। বড়ভিটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলার রহমান জানান, তাঁর ইউনিয়নে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে ৩০ জন। রণচন্ডি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোকলেছার রহমান বিমান জানান, তাঁর ইউনিয়নে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১০ জন। নিতাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফারুক জানান, ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ থেকে আমার ইউনিয়নের ৮ জনকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলেছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতার্ আবু শফি মাহমুদ জানান, হাসপাতালের এক চিকিৎসক করোনা ভাইরাসে আক্লান্ত হওয়ার কারণে অলরেডি হাসপাতাল লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। তাঁর মানে আমরা সবাই লকডাউনের মধ্যে আছি। হাসপাতাল লকডাউন থাকায় সাধারণ রোগীর কোথায় চিকিৎসা সেবা পাবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গ্রামের রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য সমস্ত কমিউনিটি ক্লিনিক খোলা রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জরুরী রোগী ক্ষেত্রে সিভিল সার্জেনের সাথে পরামর্শ সাপেক্ষে অয়াস্থী ক্যাম্প খোলা হবে।