মাফি মহিউদ্দিন কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রািতনিধি : নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের শরীফাবাদ স্কুল ও কলেজের (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষের অনিয়ম,দূনর্ীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,প্রতিষ্ঠানের প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল মতিন শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী অবৈধ ভাবে জোর পূর্বক দায়িত্বে আছেন। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের স্বারক নং ৩৭.০০.০০০০.০৭৪.০০২.০০১.২০২১.৫১ এর (খ) তফশিলে বলা হয় যে, প্রতিষ্ঠানটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় হলে সহকারী প্রধান শিক্ষককে (গ্রেড-৮) প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার অর্পন করা যাবে না।

প্রতিষ্ঠানে কর্মরত জ্যেষ্ঠ প্রভাষক/সহকারী অধ্যাপকদের (গ্রেড-৬) মধ্য থেকে জ্যেষ্ঠতম জ্যেষ্ঠ প্রভাষক/ জ্যেষ্ঠতম সহকারী অধ্যাপককে অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করতে হবে। কিন্তু আব্দুল মতিন মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে তিনি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের চেয়ার দখল করে আছেন। তিনি জোর পূর্বক ভাবে দায়িত্ব নিয়ে প্রতিষ্ঠানের কর্মরত অফিস সহকারী আজহারুল ইসলামকে প্রতিষ্ঠানের আয় ও ব্যয়ের হিসেবে না জানিয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার শিক্ষক দুলাল মিয়া ও তার পছন্দের স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্যদের ম্যানেজ করে এবং তাদের যোগসাজশে ভূয়া বিল ভাউচার তৈরী করে দীর্ঘদিন থেকে অনিয়ম ও দূনর্ীতি করে আসছেন। যাহা বিধি বহিভর্ূত ও অবৈধ। তিনি গত ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫ সালে সহকারী শিক্ষক পদ থেকে লিখিত ভাবে ইস্তফা দিলেও অধ্যাবধি সহকারী শিক্ষকের বেতনাদী উত্তোলন করে আসছেন। যাহা সম্পূর্ণ রূপে অবৈধ বলে জানা গেছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন ২০১৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর ইস্তফা দিয়ে পরের দিন ৩০ ডিসেম্বর সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করলেও তার অবৈধ বিএড সনদের কারণে শিক্ষা মন্ত্রনালয় তার বেতনাদী প্রদান করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। অবৈধ বিএড সনদ বিষয়ে উচ্চ আদালতে তাহার একটি মামলা চলমান থাকার পরেও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মতিনের সরকারী কোষাগার থেকে বেতনাদী উত্তোলন সম্পূর্ণ ভাবে বিধি বহিঃভর্ূত। তার বিএড সনদের বিষয়ে গ্রহন যোগ্যতা না থাকায় তিনি পরবতর্ীতে ২০২১ ইং শিক্ষাবর্ষে নিয়মিত শিক্ষাথর্ী হিসাবে নীলফামারী টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বিএড ডিগ্রী অর্জন করেন। এ ক্ষেত্রে তিনি স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষের কোন লিখিত অনুমতি নেন নি। বরং তিনি নিয়মিত প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত দেখিয়ে বেতনাদী উত্তোলন করেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হলেও এখনো বহাল তবিয়তে আছেন ওই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ (০১৭২২৯৬২০২০) আব্দুল মতিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সকল বিষয় অস্বীকার করেন। ওই স্কুল ও কলেজ শাখার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী হক বলেন,এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে,সত্যতা পেলে ওই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। # সাথে ছবি আছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে