কিশোরগঞ্জ নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারী কিশোরীগঞ্জ বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণের রড চোরকে ধরে ৫ ঘন্টা আটকে রাখার পর বাবা-মায়ের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়েরটির প্রধান শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে।খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌঁছিলেও কোন ফল হয় নাই। আর ইতিমধ্যে এলাকায় অনেক চুরির ঘটনা সংঘটিত হওয়াসহ পুলিশ প্রশাসনকে না জানিয়ে ধ্রুত চোরকে ছেড়ে দেয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার বিকাল ৪টার দিকে কিশোরীগঞ্জ বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের
প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে এ ঘটনাটি ঘটে।ওই রড চোর কাল্টু (২৮)কিশোরগঞ্জ সদর ইউপির কেশবা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,বিদ্যালয়টির ভোকেশনাল শাখার হল রুমে রাখা আনুমানিক ৭২০ কেজি রড দু/তিন দিন আগে চুরি হয়। গত বৃহস্পতিবার রড চুরির বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে এলে একই গ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত চৌকিদার নুর ইসলাম (বাউ) কে জানায়। ওই চৌকিদার’ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার সকাল ১০টায় মুশা বটতলা নামক স্থান থেকে কাল্টু চোরকে আটক করে ওই বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের নিকট সোপর্দ করেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার হাত ও কোমর রশি দিয়ে বেঁধে ৫ঘন্টা আটকে রাখার পর বিকাল ৪টায় প্রধান শিক্ষক গোলাম আযম, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রশিদুল ইসলাম রশিদের
উপস্থিতিতে সাদা কাগজে অঙ্গীকার নামায় আটককৃত চোরের বাবা-মায়ের স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেন। এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক গোলাম আযম রড চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রশিদুল ইসলাম রশিদের সাথে পরামর্শক্রমে চোরের বাবা-মায়ের অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের সভাপতি রশিদুল ইসলাম রশিদের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোন তুলেননি।সদর ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুল ইসলাম আনিছ জানান, এ বিষয়ে আমি অত কিছু জানি না, বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের পরামর্শে ওই চোরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।কিশোরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল আউয়াল জানান,চোর ছেড়ে দেয়ার ঘটনাটি জানার সাথেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছে তার আগেই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চোরকে ছেড়ে দিয়েছে।ওই চোরকে ধরার চেষ্টা চলছে ।