কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, কৃষিতে বিজ্ঞাণের নতুন নতুন আবিষ্কার ও উদ্ভাবিত প্রযুক্তিগুলোকে ব্যবহারের দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
তিনি বলেন, কৃষি সব সময়ই একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। নতুন নতুন সমস্যা আসবে। সেসব সমস্যা মোকাবেলা ও কৃষির অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনীতিকে উন্নত দেশের কাতারে শামিল করতে হবে। কৃষিমন্ত্রী আজ রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত ৩৮তম বিসিএস (কৃষি) ক্যাডারে নব যোগদানকৃত কর্মকর্তাদের ওরিয়েন্টশন প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে নির্বাচনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় আসার পর কৃষিক্ষেত্রে একটা নতুন দিগন্তের সূচনা করেছিলেন। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে। কিন্তু বিএনপি জোটের শাসনামলে সেটির ধারাবাহিকতা রক্ষা হয় নাই, বরং কৃষিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়। মন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ জনগণের বিপুল সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে। নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, বাংলাদেশকে দানাজতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করবো, দারিদ্র্যতা কমিয়ে নিয়ে আসবো, এমডিজি গোল অর্জন করবো।
তিনি বলেন, ২০১৩-’১৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশ দানাজাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে ওঠে। ২০১৫ সালে এমডিজির প্রায় সবগুলো লক্ষ্যমাত্রা আমরা অর্জন করি এবং দারিদ্র্যতা ২১ ভাগে নামিয়ে আনি। এটা কোনো জাদুর কাঠিতে হয় নাই। প্রধানমন্ত্রীর কৃষি ও কৃষকের প্রতি ভালোবাসা, প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতার জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. আসাদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। এতে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো. বখতিয়ার।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আবদুল মান্নান।

BSSN

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে