কোপা আমেরিকায় হানা দিয়েছে করোনা। খেলোয়াড় ও স্টাফ মিলিয়ে ভেনেজুয়েলার ১২জন আক্রান্ত হয়েছেন এই ভাইরাসে।

আজ সকালে কলম্বিয়া-ইকুয়েডর ম্যাচের আগে জানা গেল কলম্বিয়া দলেও হানা দিয়েছে করোনা। দলটির কোচিং স্টাফের দুজন সদস্য সংক্রমিত হয়েছেন—টেকনিক্যাল সহকারী পাবলো রোমান ও মনোবিদ কার্লোস এনত্রেনা।

তবে মাঠে নেমে ঠিকই জয় তুলে নিয়েছে কলম্বিয়া। ইকুয়েডরের বিপক্ষে ১-০ গোলের এই জয়ে গোলটিও ছিল দেখার মতো।

ম্যাচে কলম্বিয়া যে খুব ভালো খেলেছে তা নয়। কিন্তু প্রথমার্ধে বিরতির তিন মিনিট আগে ওই মুহূর্তটি কলম্বিয়া সমর্থকেরা অনেক দিন মনে রাখবেন। ৪২ মিনিটে ইকুয়েডর বক্সের একটু সামনে ফাউলের শিকার হন কলম্বিয়া উইঙ্গার হুয়ান কুয়াদ্রাদো। ফ্রি কিক পায় কলম্বিয়া।

কারদোনার এই শট রুখতে পারেননি ইকুয়েডর গোলরক্ষক।

এরপর মনে রাখার মতো একটি গোলের জন্ম দেন কলম্বিয়ার তিন খেলোয়াড়—এডউইন কারদোনা, কুয়াদ্রাদো ও ও মিগুয়েলে বোর্হা। গোলপোস্টে সরাসরি শট না নিয়ে কুয়াদ্রাদোর সঙ্গে তিনটি ছোট পাস খেলেন কারদোনা। বক্সে অপেক্ষায় থাকা বোর্হাকে বাতাসে ভাসানো পাস দেন কুয়াদ্রাদো।

ওদিকে কারদোনো ছুটে ঢুকে পড়েন বক্সে। বোর্হার আলতো হেড কারদোনার সামনে পড়তেই দারুণ শটে বল জালে জড়ান কারদোনা। গোলটা দেখে মনে হয়েছে ব্যালে নাচের সম্মিলিত পারফরম্যান্স!

কারদোনো শট নেওয়ার সময় ইকুয়েডেরিয়ান রক্ষণ যেন বিবশ হয়ে ছিল! ব্যালে নাচ দর্শকেরা যেমন মুগ্ধ চোখে দেখে থাকেন আর কি! তবে মাঠে রেফারি অফসাইডের অজুহাতে গোলটি বাতিল করে দিলেও ভিডিও অ্যাসিসট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তি জানিয়ে দেয় নিয়মের ভেতরে থেকেই গোল করেছে কলম্বিয়া।

কলম্বিয়া কোচ রেইনালদো রুয়েদা এই গোল নিয়ে ম্যাচ শেষে বলেন, ‘বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব থেকেই অনুশীলনে এই গোল রপ্ত করার চেষ্টা করছিল খেলোয়াড়েরা।’ ম্যাচের এই মুহূর্তটুকু ছাড়া দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলের সৌরভ ছড়াতে পারেনি কোনো পক্ষই। উল্টো বাজে খেলার জন্য রেফারিকে বারবার বাঁশি বাজাতে হয়েছে। ৩৩ ফাউল হয়েছে এ ম্যাচে। এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচ হারল ইকুয়েডর। ওদিকে রুয়েদা কোচ হয়ে আসার পর টানা তিন ম্যাচ অপরাজিত রইল কলম্বিয়া।

Pr/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে