গাজীপুরে কয়েকটি পোশাক কারখানায় বকেয়া বেতন, শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদ, কারখানায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকা ও চলতি মাসের পূর্ণ বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। বুধবার (৬ মে) সকাল থেকে গাজীপুরের সাইনবোর্ড, বোর্ডবাজার, কুনিয়া ও মৌচাক তেলিরচালা এলাকায় বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। এ সময় কয়েকটি স্থানে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে তারা বিক্ষোভ করেন। এতে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শিল্প পুলিশ গাজীপুর-২ এর পরিচালক সিদ্দিকুর রহমান জানান, এভা ফ্যাশন লিমিটেড, এম অ্যান্ড ডব্লিউ ফ্যাশন লিমিটেড, এবা ফ্যাশন, বেন্ডু ফ্যাশন লিমিটেড ও বে-ফুটওয়্যার লিমিটেডের শ্রমিকরা কারখানার সামনে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকাসহ কয়েকটি স্থানে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
শ্রমিকদের অভিযোগ, গত তিন মাস যাবৎ এম অ্যান্ড ডব্লিউ ফ্যাশন লিমিটেড কর্তৃপক্ষ বকেয়া বেতন দিতে টালবাহানা করছে। কারখানায় কোনো প্রকার স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা নেই। কাজের পূর্ণ বেতন দেয়ার দাবিতে শ্রমিকরা সকাল থেকে মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করতে বাধ্য হয়েছে। মহাসড়ক থেকে সরাতে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিলে দুপুর ১২টার দিকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এবা ফ্যাশন লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (মানব সম্পদ) আফতাব উদ্দিন আহম্মেদ শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে এক নোটিশে উল্লেখ করেছেন, ৫ মে শ্রমিকরা সুনির্দিষ্ট কোনো বৈধ আইনগত দাবি না থাকা সত্ত্বেও বে-আইনিভাবে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রাখেন এবং অন্য সেকশনের কাজ জোরপূর্বক বন্ধ করতে বাধ্য করেন। সকলকে ভয়ভীতি দেখিয়ে কারখানায় অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ বার বার অনুরোধ করলেও শ্রমিকরা উৎপাদন কাজে যোগদান করেননি। এ কার্যক্রম অবৈধ ধর্মঘটের শামিল। যে কারণে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ১৩ (১) অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করল।
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার জানান, শ্রমিকরা শ্রম আইন না মেনে বিক্ষোভ করেছেন। তাদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
J/N