_dhaka_restaurant_shooting_holey_artisan

বিডি নীয়ালা নিউজ( ১লা আগস্ট ২০১৬ইং)-ডেস্ক রিপোর্টঃ রাজধানী ঢাকার অভিজাত গুলশান এলাকায় হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে গত ১লা জুলাই।

জঙ্গিরা ওই রাতে ২০ জনকে হত্যা করে যাদের ৯ জন ইতালি, ৭ জন জাপান, ৩ জন বাংলাদেশী এবং ১ জন ভারতীয় নাগরিক। এছাড়া সন্ত্রাসীদের হামলা দুজন পুলিশও প্রাণ হারায়।

পরে হামলাকারী ৬জনও কমান্ডো অভিযানে প্রাণ হারায়।

তাদের মধ্যে অনেকেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলো। এরা শিক্ষিত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান।

কদিন পর শোলাকিয়ায় যে হামলা হয় তাতেও একজন জঙ্গি নামকরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলো।

তারপর থেকেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আলোচনায় চলে আসে।

প্রশ্ন উঠতে শুরু করে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কিভাবে ধর্মীয় উগ্রপন্থার দিকে ঝুঁকে পড়ছে। তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কি কোনো সমস্যা আছে?

গত এক মাসে সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এই তরুণরা বাড়ি পালিয়ে জঙ্গিবাদে জড়াচ্ছে বলে তথ্য আসার পর সরকার নিখোঁজদের তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও সচেতন করার উদ্যোগ নিয়েছে।

গুলশানের ওই রেস্টুরেন্টে জিম্মি সংকটের অবসান ঘটে পরদিন ভোরে কমান্ডো অভিযানের মাধ্যমে, ওই অভিযানে হামলাকারী ছয়জন প্রাণ হারায়।

কী হয়েছিল সেই রাতে?

গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সশস্ত্র জঙ্গীরা বেশ কিছু মানুষকে জিম্মি করেছে বলে খবর পাওয়া যায়।

সেখানে পুলিশের সঙ্গে জঙ্গীদের ব্যাপক গোলাগুলি হয়, জঙ্গিদের ছোড়া গুলিতে পুলিশের তিন কর্মকর্তাও আহত হয়।

গুলশান ৭৯ নম্বর সড়কের কাছেে একটি বাড়ীর কাছে রাত সাড়ে আটটার পর থেকে এই গোলাগুলি শুরু হয়।

শুক্রবার রাতের ওই হামলার ঘটনায় ১৭ জন বিদেশী নাগরিক সহ বিশজন নিহত হয় যাদের জঙ্গিরা জিম্মি করেছিলো।

শনিবার সকালে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে কমান্ডো অভিযানের মাধ্যমে এ ঘটনার অবসান ঘটে।

কমান্ডেো অভিযানে ছয় জঙ্গিও প্রাণ হারায়।

সন্ত্রাসী হামলায় এত বেশি বিদেশী মানুষের একসঙ্গে একটি সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হওয়ার ঘটনাও এর আগে ঘটেনি বাংলাদেশে।

হামলাকারীদের পরিচয় প্রকাশিত হওয়ার পর সেটিও আরেকটি বড় ধাক্কা দিয়েছিল বাংলাদেশের মানুষকে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে