মারুফ সরকার, বিনোদন প্রতিনিধি: চলচ্চিত্রের উন্নয়ন ও দ্বন্দ্ব দূর করতে নতুন করে একজোট হয়েছে সিনে সংগঠনগুলো। যার প্রধান হলেন নায়ক-প্রযোজক-পরিচালক আলমগীর।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে এক বৈঠকে মিলিত হয়েছিল চলচ্চিত্রের ১৮ সংগঠনের নেতা-সদস্যরা। যেখানে সিদ্ধান্ত হয়, এই মোর্চার প্রধান বা মুখপাত্র হিসেবে এখন থেকে নেতৃত্ব দেবেন আলমগীর।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রায় সব সংগঠনের নেতারা। আলোচনা শেষে প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘আমরা আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমাদের বরেণ্য অভিনেতা আলমগীর সাহেবের নেতৃত্বে এগুবো। চলচ্চিত্রের এই সংকটে চেয়ার নিয়ে টানাটানি দেখতে চাই না। চাই- সব সংগঠনগুলো দ্বন্দ্ব ভুলে একযোগে কাজ করুক।’
এদিকে, বৈঠক শুরু হওয়ার পর মঙ্গলবার এফসিডিতে গুজব ছড়িয়ে পড়ে প্রতিষ্ঠানটির এমডি নুজহাত ইয়াসমিন ও চিত্রনায়ক জায়েদ খানের বিরুদ্ধে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে ১৮ সংগঠন।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করে আলমগীর বলেন, ‘আজ আমরা নির্বাচন নিয়ে নয়, রেজাল্ট নিয়ে নয়- এগুলো কিছু নিয়েই কথা বলিনি। আমরা কথা বলেছি, চলচ্চিত্রের উন্নয়ন কীভাবে হবে তা নিয়ে। আমাদের চলচ্চিত্রের খুবই খারাপ অবস্থা। যেখানে ১৪০০-১৫০০ হল ছিল, ১৪-১৫ জোড়া নায়ক-নায়িকা ছিলেন- আজ এ অবস্থা কেন? এটা কী করে উন্নয়ন করা যায়, হল বাড়ানো যায়, নায়ক-নায়িকা বাড়ানো যায়- তা নিয়ে কথা বললাম। মাত্রই তো কথা হলো, কোনও কর্মসূচি বা সিদ্ধান্ত হয়নি।’
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক শেষ হয়েও শেষ হচ্ছে না। ফল ঘোষণার ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে বিতর্ক চলছেই। এই ইস্যু গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত।
এগুলো নিয়েও ক্ষোভ ছিল আলোচনায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে। জানা যায়, এতে অংশ নিয়েছিলেন সোহানুর রহমান সোহান, খসরু, দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, সাইমন সাদিকসহ অন্য সংগঠনের নেতারা।