মাফি মহিউদ্দিন কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ নীলফমারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কিশামত বদি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে টাকা নিয়ে চাকুরী না দেয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী ও পরিবারবর্গ। আজ বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্থানীয় প্রেস ক্লাব হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে নিমাই চন্দ্র মহন্ত জানান- কিশামত বদি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনন্ত কুমার রায় ও সাবেক সভাপতি বিপুল চন্দ্র রায় আমাকে গ্রন্থগারিক পদে চাকুরীর প্রলোভন দিয়ে ২০১২ সালে ১ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা ও ২০১৮ সালে ৪ লক্ষ টাকা মোট ৫ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা গ্রহণ করে। আমি চাকুরী দেয়ার কথা বললে টালবাহানা শুরু করে। পরবতর্ীতে নিরুপায় হয়ে টাকা ফেরত চাইলে তারা বিভিন্ন রকম হুমকী প্রদান করে। সংবাদ সম্মেলনে অপর এক চাকুরী প্রাথর্ী মধু সুদন রায় বলেন- ওই বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক আমাকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পদে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে ৫ লক্ষ ৫ হাজার টাকা গ্রহণ করে অদ্যবধী চাকুরী দেয়নি। আমার চেয়ে বেশি টাকা একজন দিয়েছে বলে তাকে নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করছে বলে আমি শুনেছি। আমি তাদের কাছে টাকা ফেরত চাইতে গেলে তারা আমাকেও বিভিন্নরকম হুমকী প্রদান করেছে। অপর আর এক প্রাথর্ী চম্পা বেগম সংবাদ সম্মেলনে বলেন- কিশামত বদি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনন্ত কুমার রায় ও সাবেক সভাপতি বিপুল চন্দ্র রায় আমাকে আয়া পদে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৮ সালে ১০ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেছে। টাকা নেয়ার পরে তারা আমাকে ব্যাপক হয়রানি করে। আজ কাল দিয়ে দিবে বলে টালবাহানা করে। পরবতর্ীতে তারা গোপনে অপর এক প্রাথর্ীর কাছে আমার চেয়ে বেশি টাকা নিয়ে তাকে গোপনে নিয়োগ দিয়েছে বলে জানতে পারি। তখন তাদের কাছে টাকা ফেরত চাইলে আমাকে টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্নভাবে টালবাহানা ও হুমকী দিতে থাকে। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা তাদেরকে চাকুরী দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা নিয়ে চাকুরী না দিয়ে প্রতারণা করেছে। আমরা বর্তমানে পরিবার পরিজন নিয়ে দু:শ্চিন্তায় ভোগছি। তারা তাদের দেয়া টাকা ফেরত সহ ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সাবেক সভাপতির দৃষ্টান্তমূলক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কতর্ৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ উপন্থিত ছিলেন।