ডেস্ক রিপোর্ট : করোনাভাইরাস। প্রাণঘাতি এই ভাইরাস কেবল চীনেই নয়, বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। চীনে না গেলেও আক্রান্ত হতে পারেন করোনাভাইরাসে ৷ করোনাভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত কেবল চীনের বসবাসকারী ও সদ্য চীন থেকে আসা ব্যক্তিরাই নয়, যে কোনও ব্যক্তিই এই মারণ ভাইরাসের শিকার হতে পারেন ৷ চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-র ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়াসিস।
তিনি টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়াসিস বলেন, এমন কিছু আক্রান্ত ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া গেছে যাঁরা কখনও চীনে যাননি ৷ এই খবর মোটেও ভালো নয় ৷ এই সংখ্যাটা অল্প ৷ তবে এই খবর সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ইঙ্গিত হতে পারে ৷ এক কথায় বলতে গেলে, আমরা হয়ত হিমশৈলের কেবল চূড়াটিই দেখতে পাচ্ছি ৷ এর বিস্তার কতদূর, তা এখনও অজানা ৷ এই পরিস্থি’তিতে বিশ্বের প্রতিটি দেশেরই প্রস্তুত থাকা উচিত ৷ করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় ও দ্রুত পরীক্ষার জন্য ল্যাবগুলিকে প্রস্তুত রাখা দরকার ৷ এছাড়া আক্রান্তের সংস্পর্শে কেউ এসেছে কি-না তার জন্য কন্টাক্ট ট্রেসিং ও চিকিৎসার অন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখা দরকার।
তিনি বলেন, চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের গতি হ্রাস পেলেও তা পরবর্তী সময়ে বৃদ্ধি পেতে পারে ৷ এই ভাইরাসকে রোধ করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য ৷ তবে এর গতিবিধি অনিশ্চিত হওয়ায় প্রতিটি দেশেরই উচিত সংক্রমণ রোধে নিজস্ব পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা কার্যকর করা ৷
২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চীনের উহানে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছিল, সেখানে যেসব চিকিৎসকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আক্রা’ন্তদের চিকিৎসা করছে, তাদের ‘ট্রু হিরো’র অ্যাখ্যা দিয়েছেন টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়াসিস ৷
চীনে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯১০। আক্রা’ন্তের সংখ্যা ৪০ হাজার অতিক্রম করেছে ৷ রবিবার পর্যন্ত হংকংয়ে ৩৬ জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে, যার মধ্যে একজন মারাও গেছেন ৷ অন্যদিকে ম্যাকাওতে ১০টি ও তাইওয়ানে ১৮টি করোনা সংক্রমণের নিশ্চিত কেসের ঘটনা সামনে এসেছে ৷ কেরালাতেও আক্রান্ত হয়েছেন তিনজন ৷ চীনের বাইরে ৩০টি জায়গায় মোট ৩৫০টি করোনা সংক্রম’ণের তথ্য সামনে এসেছে ৷
P/B/A