চীনে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া ৮ হাজার ৫৪৯টি পণ্যের তালিকা প্রকাশ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এদিকে চীনের দেয়া এমন সুবিধা কাজে লাগাতে পারলে বৈশ্বিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের জন্য নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে, পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত আরও মজবুত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। রোববার (১১ অক্টোবর) ১২৭৯ পৃষ্ঠার তালিকা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে রপ্তানি পণ্যের বাজার যখন সংকুচিত হয়ে আসছিল, ঠিক তখনই চীনের বাজারে আরও পাঁচ হাজার ১৬১টি পণ্যে ৯৭ শতাংশ শুল্কমুক্ত সুবিধা পায় বাংলাদেশ। নতুন সুবিধা পাওয়া পণ্য নিয়ে গত ১৬ জুন মোট আট হাজার ২৫৬টি পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেয়ার ঘোষণা দেয় চীন সরকার। গত ১ জুলাই থেকে এ সুবিধা কার্যকরও হয়েছে। কিন্তু সেগুলো চীনা ভাষায় হওয়ায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তখন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে পারেনি। দেরিতে হলেও অবশেষে সেই পণ্যের তালিকা ইংরেজি ভাষায় প্রকাশ করলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে জানা গেছে, চীন সরকার শুল্কমুক্ত সুবিধা ঘোষণা দেয়ার পর গত ২৪ জুন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ-কে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘দীর্ঘ নেগোসিয়েশনের পর গত ১৬ জুন চীন বাংলাদেশকে ৯৭ শতাংশ পণ্যে অর্থাৎ আট হাজার ২৫৬টি পণ্যে শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা প্রদান করেছে। যা ২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। চীন প্রদত্ত শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত পণ্যের তালিকা ‘Import and Export Tariff of People’s Republic of China, 2020’ -এর http://gss.mof.gov.cn ওয়েব লিংকে পাওয়া যাবে। চীনের বাজারে ৯৭ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানিতে শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা প্রদানের বিষয়টি আপনার সংগঠনের সকল সদস্যকে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
BD/P