সিরাজগঞ্জ থেকে,মারুফ সরকার:প্রবল স্রোত ও ঘূর্নাবর্তে স্কাউরিংয়ের ফলে নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে তীর সংরক্ষন বাঁধে বৃহস্পতিবার সকালে আবারো ৩০ মিটার এলাকায় ধস নেমেছে। এ নিয়ে ১১বার ধ্বসের কবলে পড়লো ১০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মানাধীন এই বাধ। বুধবার সকালে খাসকাউলিয়া এলাকার মিয়াপাড়া অংশে এই ধ্বস নামে। বাঁধটির নির্মান কাজ ৯৫ ভাগ শেষ হয়েছে।
বার বার ধসের কারনে এলাকাবাসি আতঙ্ক ও হুমকির মধ্যে পড়ে ঘর-বাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি বাঁধের ধসে যাওয়া অংশ পরিদর্শন ও কেন বার বার ধসের কবলে পড়ছে এ বাঁধ, এছাড়া ধসরোধের করনীয় নির্ধারণ করতে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর ও পাউবোর একটি বিশেজ্ঞ দল সভা করেছে। এদিকে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড তথা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এই ধ্বস ঠোকাতে বালি ভর্তি জিওব্যাগ ধ্বস কবলিত এলাকায় ফেলছে। তারা তীরবর্তীদের আতঙ্কিত না হবার পরামর্শ দিয়েছেন। এর আগে ২ ও ১৬ মে, ৮ ও ২৩ জুন ৩,৭, ১৯, ২০, ২১ ও ২৩ জুলাই এ প্রকল্পটির বিভিন্ন অংশ ধসে যায়।এছাড়া টানা বৃষ্টিপাত ও প্রবল স্রোতর কারনে উপজেলার উত্তরে বোয়ালকান্দি ও দক্ষিনে পাথরাইল পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার এবং যমুনার পশ্চিম পাড় এনায়েতপুরের ব্রাহ্মণগ্রাম থেকে পাচিল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে চলছে নদী ভাঙন।
এ কারনে চৌহালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষ, ফাজিল মাদরাসার, এসবিএম মহিলা কলেজ, আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও হাটবাজার হুমকির মুখে পড়েছে। অপর দিকে যমুনার পশ্চিম পাড়ে অব্যাহত ভাঙনে তাঁত শিল্প সমৃদ্ধ এনায়েতপুর থানা সদরে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ কাপড়ের হাট, ৮০০ শয্য খাজা ইউনুস আলী মেডিকলে কলেজ এন্ড হাসপতাল, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বহু তাঁত কারখানা এবং অসংখ্য ঘর-বাড়ি রয়েছে ভাঙন ঝুঁকিতে। এনায়েতপুর এলাকায় এখনো নেয়া হয়নি ভাঙনরোধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা। ইতোমধ্যে বিলীন হয়েছে প্রায় সাড়ে ৬শ বসত বাড়ি ও শত শত একর আবাদি জমি।এবিষয়ে চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, এ নিয়ে ১১বার ধ্বসের কবলে পড়লো নির্মানাধীন এই বাধ। নির্মানাধীন এই বাধের নকশায় ত্রুটি থাকার কারনেই বার বার এই বাধ ধ্বসের কবলে পড়ছে বলে তাকে জানিয়েছেন টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী।