জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, এম এম মুজাহিদ উদ্দীন: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ১৫ সদস্যের ২০১৬-২০১৭ কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি পদে সর্বাধিক ভোট পেয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. পিয়ব্রত পাল এবং সাধারণ সম্পাদক পদে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল বাকী নির্বাচিত হয়েছেন।
অধ্যাপক প্রিয়ব্রত পাল সভাপতি পদে ২২৯ ভোট পেয়েছেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ সেলিম পেয়েছেন ২০৫ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুল বাকী পেয়েছেন ২৪০ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ড. মোঃ আবুল হোসেন পেয়েছেন ১৯৩ ভোট।
সোমবার (১২ডিসেম্বর) জবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে নির্বাচন কমিশিনার মোঃ ছগীর হোসেন খন্দকার স্বাক্ষরিত এক ফলাফল তালিকায় এ তথ্য জানা যায়।
নবনির্বাচিত কমিটিতে সর্বাধিক ভোটপেয়ে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, কোষাধ্যক্ষ জহির উদ্দীন আরিফ, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল সালাম। এছাড়াও কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন বাংলা বিভাগের প্রভাষক শাহ্ মোঃ আরিফুল আবেদ, মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কিশোর রায়, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী সাবরিনা রহমান, সমাজকর্ম বিভাগের
সহকারী অধ্যাপক মোঃ মামুনুর রশীদ শেখ, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শবনম শারমিন লুনা, মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ মাহফুজ, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক সহকারী অধ্যাপক খন্দকার তানভীর হোসেন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ রেজাউল হোসাইন, আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জেলিনা সুলতানা এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-এর
প্রভাষক কাজী ফারুক হোসেন সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, সোমবার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ভোট গ্রহন চলে।এসময় বিশ্ববিদ্যালয় এক নির্বাচনি আমেজের সৃষ্টি হয়। পরে ভোটগ্রহণ শেষে বিকাল চারটার দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশিনার মোঃ ছগীর হোসেন।
এ ব্যাপারে ছগীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষক সমিতির নির্বাচন সুষ্ট ভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং মোট ভোট কাস্ট হয়েছে ৪৪০টা । এর মধ্যে একটি ভোটও নষ্ট হয়নি।
এদিকে সবার সহযোগিতা চেয়ে নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. প্রিয়ব্রত পাল বিডি নীয়ালা নিউজকে বলেন, নির্বাচনে সকলেই আমাকে সহযোগীতা করেছেন । তাই সকলকে সাথে নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি যুগোপযোগী বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপায়নে চেষ্টা করবো। এনির্বাচনকে নিয়ে জবি শিক্ষকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায়।