মোঃ আমজাদ হোসেন, জয়পুরহাট: জয়পুরহাট পাঁচবিবি উপজেলার এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকাকে বিয়ের কথা বলে ধর্ষণের অভিযোগে ব্যাংক কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ মে) সকালে তাকে মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে সোমবার (১ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে শহরের জানিয়ার বাগান মহল্লার একটি ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেতার ব্যক্তিরা হলেন এরশাদ আলী পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার উৎকুরা গ্রামের মনতাজ আলীর ছেলে। তিনি অগ্রণী ব্যাংক জয়পুরহাটের পাঁচবিবি শাখায় কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।
এজাহার থেকে জানা গেছে, ২০২০ সালের দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাদের পরিচয় হয় এবং তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে ওই ব্যাংক কর্মকর্তা তার স্ত্রী থাকার বিষয়টি গোপন করেন। প্রেমের সর্ম্পকের একপর্যায়ে তারা দুজন বিভিন্ন স্থানে মেলামেশা করেন।
প্রায় আট মাস আগে থেকে এরশাদ আলী তাকে বিয়ের কথা বলে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে আসছিল। গত ১৪ মার্চ রাতে ফের তাকে ধর্ষণ করা হয়। তাকে বিয়ে না করতে তালবাহনা শুরু করেন এবং হত্যার হুমকি দেন। ওই শিক্ষিকা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী রয়েছে।
জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম ঢাকা মেইলকে বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ব্যাংকের কর্মকর্তাকে তার ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ মে) সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
জয়পুরহাট জজ কোর্টের ইন্সপেক্টর আব্দুল লতিফ খান ঢাকা মেইল কে বলেন, ওই ব্যাংক কর্মকর্তাকে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।