ডেস্ক রিপোর্টঃ তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু মাসের ১২ ডিসেম্বরকে জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি দিবস হিসেবে ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে ‘ফ্রিল্যান্সার কনফারেন্স’র সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ‘লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলমেন্ট প্রকল্প’র উদ্যোগে এ কসফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন।
২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন-তার উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেদিনের প্রত্যয়ের বাস্তবায়ন ঘটেছে। দেশ আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে অভাবনীয় সক্ষমতার পথে এগিয়ে চলেছে। এ কারণে ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশের জন্য একটি অবিস্মরণীয় দিন। এই দিনটিকে জাতীয় পর্যায়ে উদযাপনের জন্যই তথ্যপ্রযুক্তি দিবস ঘোষণার দাবি রাখে।’
ইনু বলেন,তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি-কর্মীরাই বাংলাদেশের অর্থনীতির চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। ‘কৃষক, প্রবাসী জনগণ এবং পোশাক শিল্পের নারী শ্রমিকরা ‘আমাদের অর্থনীতির তিনটি মূল স্তম্ভ এ কথা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তথ্য-প্রযুক্তিকর্মীরা হবেন এ দেশের আগামী দিনের অর্থনীতির চতুর্থ স্তম্ভ।’
মন্ত্রী ‘লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলমেন্ট প্রকল্পে’র প্রশংসা করে বলেন, ‘প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এক ব্যক্তি-এক কম্পিউটার একটি চলমান শিল্প জন্ম দেবে। তিনি এজন্যই এই ব্যক্তি এবং ব্যবসার নিরাপত্তা প্রসারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতীয় ও বৈশ্বিক সাইবার নিরাপত্তা, মাতৃভাষায় বিষয়বস্তু তৈরি, ইন্টারনেটে প্রবেশগম্যতা ও সংযোগ-সুলভতা, ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে ঘোষণা এবং ইন্টারনেটের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
জুনাইদ আহমেদ পলকও ১২ ডিসেম্বরকে তথ্যপ্রযুক্তি দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবি জানান।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সুশান্ত কুমার সাহা সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
বি/এস/এস/এন