ডেস্ক রিপোর্ট : প্রেমে পড়তে কে না চায়। প্রেম কখনো বয়স মানে না। সব বয়সেই মনে প্রেম জাগে। কিন্তু তা সত্ত্বেও, কিছু পরিবর্তন বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আসতেই থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেমন চেহারায় পরিবর্তন আসে, তেমনই ভাবনা চিন্তা, প্রেম, সম্পর্কেও অনেকটাই বদল আসে। প্রেম মানে এক সময়ে শুধুই ছিল কোচিং ক্লাসে পেন দেওয়া নেওয়ার সময়ে একবার হাত ছুঁয়ে যাওয়া। কিন্তু সেই প্রেমের গণ্ডিও কোচিং ক্লাস বা স্কুলের গেট পর্যন্ত।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই কোচিং ক্লাসও আর থাকে না। তখন শুধুই চার দেওয়ালে ঘেরা অফিস আর টার্গেট সম্পূর্ণ করার চিন্তা। আর তার থেকে যেটুকু সময়ে বেঁচে থাকে, সেটুকু হয়তো সঙ্গীর সঙ্গে রেস্তোরাঁতে কাটানো। এভাবেই প্রেমের রং বদলাতে থাকে।
কিন্তু বিশেষ কিছু বিষয় লক্ষ্য করলে আপনিও দেখতে পাবেন, আপনার ১৮ বছর বয়েসের প্রেম আর ২৫ বছর বয়সের প্রেমের মধ্যে বিস্তর ফারাক। তবে আসুন জেনে নেয়া যাক-
১। ১৮-প্রেম মানেই, সে হয়তো আপনার সহপাঠী বা আপনার বান্ধবীর সুদর্শন দাদা। কিন্তু ২৫-এ গল্পটা অনেকটাই বদলে যায়। সাধারণত কোনও বিয়ে বাড়ি বা পার্টিতে প্রথম দেখা হয়। আর না হলে তো রয়েছে ফেসবুক বা টিন্ডারের মতো অ্যাপ।
২। সাইড প্রোফাইল দেখে অনেকেই বলেন, ঠিক যেন হৃতিক রোশন। আর তাই ক্রাশকে ইমপ্রেস করতে ফিজিকাল ফিটনেস অবশ্যই দরকার। বেশির ভাগ স্কুল-কলেজের ক্যাম্পাসেই এটা খুবই কমন দৃশ্য। কিন্তু ২৫-এ ইমপ্রেস করার কোনও ঝক্কি নেই। ভবিষ্যতে কতটা পরস্পরের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবেন, এ কথা ভেবেই সম্পর্ক শুরু হয়।
৩। সম্পর্ক মানেই সঙ্গীকে সময় দেওয়া। এবার প্রশ্ন তাঁর সঙ্গে সময় কাটাবেন কীভাবে? ১৮ থেকে ২০-র মধ্যে আলাদা করে সময় দিতে লাগে না। তখন সময় কাটানোর সেরা জায়গা কলেজ ক্যাম্পাস। তার থেকে বেশি হলে একসঙ্গে সিনেমা দেখতে যাওয়া। কিন্তু, ২৫ পেরতেই সময় একটা বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তখন সঙ্গীর সঙ্গে দেখা হওয়া মানে অফিসের পরে রাতের দিকে কোথাও ডিনার করা অথবা লং ড্রাইভ। সিনেমা দেখার সময়ও না পেলে বাড়িতেই কম্পিউটার বা ল্যাপটপে একসঙ্গে সিনেমা দেখা।
৪। ১৮ মানে সঙ্গীর পছন্দের রং, ছবি, অভিনেতা, খাবার ইত্যাদি সম্পর্কে জেনে নেওয়া। আর ২৫-এর আলোচনা মানে কেরিয়ারে পরবর্তী পদক্ষেপ কী, কবে বিয়ে করবেন ইত্যাদি।
দে/শ