ডেস্ক রিপোর্ট : খাদ্যে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাটের এবারও প্রায় ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগাম বৃষ্টিপাতের ফলে জেলার কৃষকরা এখন রোপা আমনের বীজ তলা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বাসস’কে জানায়, জেলায় ২০১৭-২০১৮ রোপা আমন চাষ মৌসুমে ৬৯ হাজার ৮শ ৬৩ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ ফলনশীল জাতের ৬৪ হাজার ৯২০ হেক্টর, হাইব্রিড জাতের ৪ হাজার ১২২ হেক্টর ও স্থানিয় জাতের ৮২১ হেক্টর। এতে চালের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ২ লাখ মেট্রিক টন । উপজেলা ভিত্তিক রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রয়েছে জয়পুরহাট সদরে ১৬ হাজার ৪২৫ হেক্টর, পাঁচবিবি উপজেলায় ১৯ হাজার ৯৬১ হেক্টর, আক্কেলপুরে ১০ হাজার ৪শ’ হেক্টর, ক্ষেতলাল উপজেলায় ১১ হাজার ১৯৫ হেক্টর ও কালাই উপজেলায় ১১ হাজার ৮৮২ হেক্টর। খাদ্যে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাটে রোপা আমন চাষ সফল করতে মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করছেন বলে জানায় কৃষি বিভাগ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুধেন্দ্রনাথ রায় বাসস’কে বলেন, জেলায় ৫ জুন পর্যন্ত ইউরিয়া ৩ হাজার ৭৯ মে: টন, টি এস পি ৮শ’ ২৮ মে. টন, এম ও পি ১ হাজার ৩শ’ ২২ মে. টন এবং ডি এ পি ৮শ’ ৩ মে. টন সার মজুদ রয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার আগাম বৃষ্টিপাতের ফলে জেলার কৃষকদের রোপা আমন চাষে কোন সমস্যা হবেনা বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। চলতি মৌসুমের বোরোর বাম্পার ফলনের পর জেলার কৃষকরা এখন রোপা আমনের বীজতলা তৈরির কাজ ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। ইতোমধ্যে ২ হাজার ৩শ হেক্টর জমি বীজতলা হিসাবে প্রস্তুত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬-১৭ রোপা আমন চাষ মৌসুমে জেলায় ৭১ হাজার ৯শ’ ৪০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষ হয়েছিল। এতে চাল উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ ৫১ হাজার ৫শ’ ৮২ মেট্রিক টন। যা জেলার খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে অন্যত্র সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছিল বলে কৃষি বিভাগ জানায়।
বি/এস/এস/এন