সাকিব আল হাসানেই আস্থা রাখল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। টেস্টের নেতৃত্বে মুমিনুল হকের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে তৃতীয় দফায় অধিনায়কত্ব পেলেন টাইগার অলরাউন্ডার। এছাড়া সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে লিটন দাসকে।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) দুপুর পৌনে ১টায় এ নিয়ে বৈঠকে বসে বিসিবি। এর আগে মুমিনুলকেই থেকে যাওয়ার অনুরোধ করা হবে নাকি নতুন করে কেউ আসবেন নেতৃত্বে–এমন গুঞ্জন ছিল দেশের ক্রিকেট পাড়ায়। তবে শেষ পর্যন্ত সাকিবেই আরেকবার আস্থা রাখল বোর্ড। এদিকে, টেস্টের মতো টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বেও সাকিব আসতে পারেন বলে নতুন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
একদিন আগেই সাকিবকে অধিনায়ক করার পক্ষে সায় দিয়েছিলেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। বুধবার (১ জুন) গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে সুজন বলেছিলেন, সাকিব টেস্ট খেলতে চায় না, এটা ভুল কথা। ওকে দায়িত্ব দেয়া হলে দলের জন্য ভালোই হবে।
কারণটাও ব্যাখ্যা করেন সুজন। তার মতে, সাকিবের অভিজ্ঞতা এবং দলের প্রতি নিবেদনই তাকে যোগ্য দাবিদার করে তুলেছে। মিস্টার সেভেন্টি ফাইভের টেস্ট খেলতে না চাওয়ার বিষয়টাকে রীতিমতো গুজব বলে উড়িয়ে দিলেন তিনি।
এর আগে প্রথম দুই দফায় সাকিবের অধিনায়কত্ব কালটা ছিল মিশ্র। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে মাশরাফী বড় ধরনের ইনজুরিতে পড়লে অধিনায়ক হিসেবে ১৩ মাস দায়িত্ব পালন করেছেন সাকিব। যদিও ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে হারারেতে স্বাগতিক দলের কাছে বাংলাদেশের ভরাডুবির জেরে অভিযুক্ত সাকিবকে অধিনায়ক পদ থেকে অপসারণ করা হয়।
এরপর দায়িত্বভার তুলে দেয়া হয় মুশফিকুর রহিমকে। ২০১১ থেকে ২০১৭–এই ৬ বছরে ৩৪ টেস্টে ৭টি জয়ে বাংলাদেশকে অন্য উচ্চতায় উঠিয়ে আনা মুশফিকের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জিতেছে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং শততম টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও। যদিও ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ায় মুশফিকও ক্যাপ্টেন্সি হারান।
এরপর আবারও দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব তুলে দেয়া হয় সাকিবের হাতে। ৫ টেস্টে ২টি জয়। দুটিই হোমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, ২০১৮ সালে। ২০১৯ সালে টেস্টের নবাগত আফগানিস্তানের কাছে চট্টগ্রাম টেস্টে ২২৪ রানে বাংলাদেশ হেরে যাওয়ায় সাকিবের ক্যাপ্টেনসি নড়বড়ে হয়ে পড়েছিল। ভারতের এক জুয়াড়ির দেয়া স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন রাখার দায়ে ওই টেস্টের পর সব ধরনের ক্রিকেটে সাকিব নিষিদ্ধ হলে মুমিনুলকে অধিনায়ক হিসেবে বেছে নেয় বিসিবি।
SO/N