জুয়েল ইসলাম, তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরের তারাগঞ্জে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ ধারা ৮ এর উপ-ধারা ১ অনুযায়ী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে চিন্তা, বিবেক ও বাক- স্বাধীনতা নাগরিকগণের অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত এবং তথ্য প্রাপ্তির অধিকার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে গণ্য করা হলেও তথ্য অধিকার আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগ উঠেছে বরাতী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলীর বিরুদ্ধে।
আবেদনের প্রেক্ষিতে জানা যায়, উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের কমর পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম গত ৮ ডিসেম্বর ২১ ইং তারিখে উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর মশিয়ার রহমান পিতা রহিদুল গ্রাম ইকরচালী মাঝাপাড়া বরাতী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণী পাশের সনদ প্রদানের তথ্যের জন্য আবেদন করা হলেও ২০ কার্য দিবসের মধ্যে উক্ত প্রতিষ্ঠানের তথ্য প্রদান কারী ইউনিট থেকে তথ্য পাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
উক্ত নির্দেশ অনুযায়ী গত ৬ জানুয়ারী ২২ ইং তারিখে বরাতী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলী বরাবর তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ অনুযায়ী উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের নির্দেশনা অনুযায়ী আবেদন করা হলেও তিনি গত ১ মাস ১০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও কোন তথ্য প্রদান করেননি। কিন্তু তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ ধারা ৮ এর উপ-ধারা ১ এর অধীন অনুরোধ প্রাপ্তির তারিখ হইতে অনধিক ২০ কার্য দিবসের মধ্যে অনুরোধকৃত তথ্য সরবরাহ করিবেন উল্লেখ আছে। অনুরোধকৃত তথ্যের সহিত একাধিক তথ্য প্রদান ইউনিট বা কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্টতা থাকিলে অনধিক ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে উক্ত অনুরোধকৃত তথ্য সরবরাহ করিতে হইবে। উপ-ধারার ১ ও ২ অনুযায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোন কারণে তথ্য প্রদানে অপারগ হইলে অপারগতার কারণ উল্লেখ করিয়া আবেদন প্রাপ্তির ১০ কার্য দিবসের মধ্যে তিনি উহা অনুরোধকারীকে অবহিত করিবেন উল্লেখ থাকলেও তিনি নিজের ক্ষমতা বলে তথ্য অধিকার আইন অমান্য করে কোন তথ্য প্রদান করেননি। যাহা একটি সংবিধানের বহির্ভূত কাজ।
তথ্য আবেদনকারী শফিকুল ইসলাম জানান, তথ্য অধিকার আইনে আমি গত ২৮ ডিসেম্বর ২১ ইং তারিখে উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর তথ্য পাওয়ার জন্য আবেদন করলে তিনি ২০ কার্য দিবসের মধ্যে বরাতী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরাবর তথ্যের জন্য আবেদন করার নির্দেশ দেন। কিন্তু আমি তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ অনুযায়ী গত ৬ জানুয়ারী ২২ ইং তারিখে আবেদন করলেও তিনি গত ১ মাস ১০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও নিজের ক্ষমতা বলে কোন প্রকার তথ্য না দিয়ে আমাকে ধমক দিয়ে ফেরত দেন। এবং আরও বলেন, আমি কোন প্রকার তথ্য দিতে পারবো না।
সনদ প্রদানের বিষয়ে বরাতী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলীর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, মশিয়ার রহমান এই স্কুলের ছাত্র ছিল কিনা তা আমার জানা নেই। পূর্ববর্তী সময়ে রেজিষ্টারে তার নাম কোথাও নতিভূক্ত করা নেই। সে আমাকে একটি প্রত্যায়ন পত্র দিলে আমি মশিয়ার রহমানকে ৮ম শ্রেণী পাশের একটি সনদ প্রদান করি। তিনি আরও বলেন, আমি এখন পর্যন্ত তথ্য অধিকার আইনে আবেদনকারীকে তথ্য প্রদান করিনি। কিন্তু খুব শীঘ্রই আমি তাকে একটি বিবৃতি দিব।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সেলিনা বেগম জানান, আমি তথ্য পাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু তিনি কি কারণে তথ্য দেননি তা আমি জানি না। তবে এ বিষয়ে আমাকে অবগত করা হলে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।