শ্রমিকদের তীব্র তাপদাহ থেকে সুরুক্ষা দিতে কারখানা মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানান।
শ্রমিকরা দিনের বেশিরভাগ সময়ই কর্মক্ষেত্রে ব্যয় করেন; আর এ কারণে কারখানার পরিবেশ যাতে অনুকূল ও শোভন হয় সে বিষয়ে সবাইকে মনোযোগী হতে হবে বলে জানান স্পিকার। বর্তমানে তীব্র তাপদাহ; প্রচণ্ড গরম। এর মধ্যেও শ্রমিকরা যে কারখানায় কাজ করবেন; সেখানে পর্যাপ্ত আলো প্রধান বাতাসের ব্যবস্থা রাখতে হবে। তাদের সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা রাখতে হবে, সেখানে সুপেয় ব্যবস্থা রাখতে হবে। এসব সুবিধা নিশ্চিতের মাধ্যমে শোভন পরিবেশ নিশ্চিত সম্ভব যোগ করেন স্পিকার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার আরও বলেন, কারখানার ভেতরে শ্রমিকরা পোশাক পরবেন সেটা নির্দিষ্ট রাখা ভালো। যাতে তারা এ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
শিরিন শারমিন আরও বলেন, বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে শ্রমিকরা কী ধরণের ঝুঁকির সম্মুখীন সেটা নির্ধারণ করতে হবে। একজন শ্রমিক কীভাবে কাজ করছে, তার শারীরিক সুস্থতার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কর্মপরিবেশ শ্রমিকের অনূকূলে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, শ্রমিকরাই জাতীয় অর্থনীতির চাকা সচল রাখে। তাই শ্রমিকদের জন্য কর্মবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। উন্নত কর্মপরিবেশ শ্রমিকের কর্মদক্ষতা ও প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন বৃদ্ধি করে। তাই শোভন কর্মপরিবেশ তৈরিতে বিনিয়োগ করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, চলমান তাপদাহ নিরসনে আমাদের কারখানাগুলোতে আরও বেশি সবুজায়ন প্রয়োজন।
মালিকদের বিরুদ্ধে আনা শ্রমিকদের অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান মন্ত্রী।
বর্তমান সরকারকে শ্রম ও ব্যবসা বান্ধব উল্লেখ করে বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, পোশাক খাত টিকিয়ে রাখতে হলে শ্রমিক ও মালিককে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করতে না পারলে শ্রমিকদের কর্মদক্ষতা হ্রাস পাবে। দ্রব্যমূল্যে ঊর্ধ্বগতির কারণে সরকার শ্রমিকদের বেতন বাড়িয়েছে। আমরাও সেটা যুক্তিসঙ্গতভাবে মেনে নিয়েছি।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. আব্দুর রহিম খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশে আইএলও এর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুওমো পোটিআইনেন, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নূর কুতুব আলম মান্নান, বাংলাদেশ অ্যাপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি আরদাশীর কবির, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. তরিকুল আলম, বিকেএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি মানসুর আহমেদ প্রমুখ।
এসময় ২৯টি ফ্যাক্টরিকে গ্রীন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ দেওয়া হয়। স্পিকার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার দেন।
Jag/N