আন্তর্জাতিক রিপোর্টঃ তৃণমূল জনগণের মাঝে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার সাফল্যের জন্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক মার্গারেট চ্যান।
আজ সোমবার চীনের সাংহাই-এ ‘হেলথ প্রমোশন ইন দ্য এসডিজিস’ বিষয়ক নবম বৈশ্বিক সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিদের সম্মানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আয়োজিত মধ্যহ্ন ভোজ সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সাথে একান্ত আলাপকালে তিনি এই অভিনন্দন জানান।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের সার্বিক অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে মার্গারেট চ্যান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের অর্জন বিশে^র অনেক দেশের জন্য অনুকরণীয়। তিনি এসময় ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্যের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এসময় মোহাম্মদ নাসিম বাংলাদেশের জনগণের স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার ভূমিকায় কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে আগামীতে সহায়তা বাড়ানোর জন্য মার্গারেট চ্যানের প্রতি অনুরোধ জানান।
পরে চীনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী লি বিনের সাথে একান্ত আলাপকালে বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে চীনের সহযোগিতা কামনা করেন মোহাম্মদ নাসিম।
মা ও শিশু স্বাস্থ্যসহ এই খাতের কয়েকটি পর্যায়ে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করে চীনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আগামীতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগ, তথ্য প্রযুক্তি, জ¦ালানীসহ কয়েকটিখাতে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারের আশ্বাস প্রদান করেন।
এদিকে আজ সকালে সাংহাই-এ এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক মার্গারেট চ্যান বিশেষ অতিথি হিসাবে উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তৃতা করেন।
বিশে^র প্রায় ২০০ দেশের মন্ত্রী, সরকারের নীতি নির্ধারণী কর্মকর্তাগণ, বেসরকারি সংস্থার উন্নয়ন কর্মীসহ এক হাজারের বেশি প্রতিনিধি চার দিনব্যাপী এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে বিশ্বের ৭.৪ বিলিয়ন মানুষের জীবন মানের অগ্রগতির কৌশল নির্ধারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও চীনের সরকার যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করছে।
বি/এস/এস/এন