বিশেষ প্রতিনিধি, মারুফ সরকার : দুর্নীতির দায়ে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে অপসারনের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপতি হলেও রবিবারের অডিও ফাসের পর প্রশ্ন উঠেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম কি দুর্নীতির দায় এড়াতে পারেন প্রশ্ন তুলে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ জাবি ভিসির অপসারন ও পদচ্যুত করার দাবী জানিয়েছে।
সোমবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ দাবী জানান।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, অডিও বক্তব্যে প্রমানিত হয়ছে জাবি ভিসি ফারজানা টাকা ভাগ করে দিয়েছেন। তিনি এখন বিতর্কের কাঠগড়ায়, এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠের সর্বোচ্চ আসনে বসে এই সকল শিক্ষিত সমাজই সমাজ ও রাষ্ট্রকে ধ্বংসের পথে দিয়ে যাচ্ছে। আজ জনমনে প্রশ্ন উঠেছে উপাচার্যদের হাত ধরে একেকটি বিশ্ববিদ্যালয় কি তবে অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে?
তারা বলেন, রাষ্ট্রে এমন এক পরিস্থিতি বিরাজ করছে যে, সকালে যাকে সাধু মনে হচ্ছে রাত নামলেই দেখা যায় তারাও লোভের পথে দুর্নীতির অন্দকার গলিতে নগ্নভাবে হাটছেন। দুর্নীতির অপরাধে শোভন-রাব্বানীরা দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেলে এসকল শিক্ষিতরা কেন পাবেনা? আইনের উর্ধ্বে কেউ যেতে পারেননা।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, সময় এসেছে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম দূর্নীতির তদন্ত হওয়ার। একটা সময় ছাত্রনেতারা শিক্ষকদের সমীহ করতেন, এখন বিপথগামী প্রশাসন ও শিক্ষকরা ছাত্রনেতাদের সমীহ করেন। সমাজে এতোটাই পচন ধরেছে যে, একেকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বশীলদের দিকে তাকালে দুর্নীতির প্রতিধ্বিনী শোনা যায়। মনে হয়, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে মর্যাদাবান আদর্শিক শিক্ষকরা দায়িত্বে নাই, আদর্শ শিক্ষকের আইডল আর দেখা দুষ্কর, সেখানে সেই সব বিশ্ববিদ্যালয় জাতির আলোকিত সন্তান উপহার দেবে কিভাবে ? শিক্ষকরা নষ্ট হলে, দূর্নীতিতে ডুবে থাকলে রাজনীতি সরকার তাদের ঠিক করবে কিভাবে?
নেতৃদ্বয় অবিলম্বে এসকল দুর্নীতিবাজদের হাত থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রক্ষায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের জোর দাবী জানান।