ডেস্ক রিপোর্টঃ শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা আজ এখানে অনুষ্ঠিত এক আর্ন্তজাতিক সম্মেলনে বলেছেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৩ হাজার শিশু ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এর অর্থ হচ্ছে দেশে মরণব্যাধি ক্যান্সার জীবাণু বহনকারী বিপুল সংখ্যক লোক রয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বাংলাদেশের পেডিয়াট্রিক হেমাটোলজি এন্ড অনকোলজি সোসাইটি আয়োজিত দিনব্যপী সেমিনারে তাঁরা এ কথা বলেন। বক্তারা বলেছেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন পরিবেশগত কারণে দিন দিন ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পিএইচওএসবি’র সভাপতি অধ্যাপক চৌধুরী ইয়াকুব জামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা.কামরুল হাসান খান, সাবেক উপাচার্য এবং বাংলাদেশ চাইল্ডহুড ক্যান্সার সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা.এমএ মান্নান, বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক এসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ এবং শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ও পিএইচওএসবি’র মহাসচিব অধ্যাপক একেএম আমীরুল মোরর্শেদ খসরু বক্তব্য রাখেন।
খসরু বলেন, বাংলাদেশে সরকারি পর্যায়ে মাত্র ৯টি পেডিয়াট্রিক হেমাটোলজি এন্ড অনকোলজি সেন্টার রয়েছে।
তিনি বলেন, এই রোগীদের যথাযথ চিকিৎসার জন্য আরো দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। দেশে আরো পেডিয়াট্রিক হেমাটোলজি এন্ড অনকোলজি সেন্টার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
অধ্যাপক শহদিুল্লাহ বলেন, একটি সময়ে শিশু রোগ হচ্ছে বড় বিষয়। বিভিন্ন বয়সের শিশুদের মধ্যে এই রোগ লক্ষ্য করা গেছে। তিনি বলেন, এই রোগের চিকিৎসায় দেশে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষিত জনশক্তি প্রয়োজন।
অধ্যাপক কামরুল বলেন, সফল ভ্যাকসিন ও অন্যান্য কর্মসূচীর বাস্তবায়নের মাধ্যমে কমিউনিকেবল রোগ উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবার পরও শিশুকালে নন- কমিউনিকেবল রোগ বিশেষ করে ক্যান্সার এবং ব্লাড রোগ এর ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ঝুকি রয়েই গেছে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
B/S/S/N.