ডেস্ক রিপোর্টঃ জেলার নকলায় মাধ্যমিক শাখার ৫০টি স্কুল-মাদ্রাসায় বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। উপজেলার মাধ্যমিক শাখার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপনের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে।
শিক্ষা অধিদপ্তরের স্মারকের এক চিঠির নিদের্শনা মোতাবেক শেরপুরের সব কয়টি উপজেলায় মাধ্যমিক শাখার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপনের কাজ চলছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নকলার বানেশ্বরদী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, মমিনাকান্দা আল-আমিন দাখিল মাদ্রাসা, নকলা শাহরিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, দধিয়ারচর দাখিল মাদ্রাসা, চরমধুয়া দাখিল মাদ্রাসা, কৃষ্ণপুর দাখিল মাদ্রাসা, কায়দা বালিকা দাখিল মাদ্রসা, নকলা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, নকলা পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, চন্দ্রকোনা রাজক্ষ্মী উচ্চ বিদ্যালয়, চন্দ্রকোনা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গনপদ্দী উচ্চ বিদ্যালয়, ভুরদী ছাল্লাকুড়া নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ধনাকুশা উচ্চ বিদ্যালয়, চরমধুয়া আদর্শ বিদ্যা নিকেতন, মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বিদ্যা নিকেতনসহ প্রায় সকল স্কুল মাদ্রাসার গ্রন্থাগারের একপাশে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। ওই কর্নারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন, কর্ম ও আদর্শ, ভাষা আন্দোলন, মুক্তি যুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস ঐতিহ্যসহ বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ ও মূুল্যমান অনেক বই রয়েছে। এসব বই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ শিক্ষানুরাগী সকলের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।
শিক্ষার্থী মৌ, কামাল, রিশিতা, অমিত, নাদিরা, জবা, মরিয়ম, নাঈমসহ অনেকে জানায় বঙ্গবন্ধু কর্নারের বিভিন্ন বই পড়ার মাধ্যমে নতুন অনেক কিছু জানার সুযোগ পেয়েছে তারা।
বানেশ্বরদী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা সুপার মাওলানা মো. শহিদুল ইসলাম জানান,এ কর্নারের মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ভাষা আন্দোলন, মুক্তি যুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের সঠিক সত্য ইতিহাস ঐতিহ্যসহ বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ ও মূুল্যমান তথ্য সম্পর্কে সবার জানার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
মমিনাকান্দা আল-আমিন দাখিল মাদ্রাসা সুপার মোহাম্মদ হযরত আলী বলেন, বিভিন্ন সময় নানান ভাবে বাংলার বিভিন্ন ইতিহাস ঐতিহ্যের তথ্য বিকৃত করার চেষ্টা করা হয়েছে। ফলে তখনকার প্রজন্ম ওইসব বিকৃত করা ইতিহাস জেনে আসছিল। বর্তমান সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গ বন্ধু কর্নার নামে স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়ায়, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মরা বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়ার স্থান খোঁজে পেয়েছেন বলে মনে করেন অনেক শিক্ষক ও শিক্ষানুরাগী।
একাডেমিক সুপার ভাইজার মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, অফিসে গুরুত্বপূর্ণ কোন কাজ না থাকলে, ছুটির দিন ব্যতীত আমি প্রায় প্রতিদিন কোন না কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দিয়ে আসছি। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষানুরাগীদের মধ্যে বেশ প্রভাব পড়েছে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান, শিক্ষা অধিদপ্তর ও জেলা শিক্ষা অফিসের দেওয়া নির্দেশনা মোতাবেক নকলা উপজেলার মাধ্যমিক শাখার সকল (৫০টি) স্কুল-মাদ্রাসায় বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করার কাজ প্রায় শেষ। তিনি আরো জানান, উপজেলা শিক্ষা অফিসের রুটিন অনুযায়ী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন, বঙ্গবন্ধু কর্নার তদারকি ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। উপজেলায় ৩০টি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ২০ টি দাখিল মাদ্রাসা রয়েছে।
শেরপুরের জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব জানান, জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করা হয়েছে।