জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ পুলিশের দায়ের করা নাশকতার মামলায় নীলফামারীর ডোমার উপজেলা জামায়াতের ২৮ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার দুপুরে ডোমার উপজেলা জামায়াতে ৩০ নেতাকর্মী নীলফামারী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসর্ম্পণ করে দুই জন আইনজীবী মাধ্যমে আদালতে জামিন প্রার্থণা করেন।

আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. রেজাউল করিম সরকার দুই জন আসামীর জামানি মঞ্জুর করে ২৮ আসামীকে জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বিকালে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারা প্রত্যেকেই মামলার চার্জসীটভূক্ত আসামী এবং মামলা দায়েরর পর থেকেই পলাতক ছিল।

আদালত সূত্র জানায়, একাদশ সংসদ নির্বাচন বানচাল এবং সরকারি বিরোধী কর্মকান্ডসহ সরকারি সম্পত্তি ক্ষতিসাধনের লক্ষ্যে ২০১৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর বিকেলে ডোমার সোনারায় ইউনিয়নের ডুগডুগি বাজার সংলগ্ন হামিদের মোড় নামক স্থানে গোপন বৈঠকে বসে জামায়াতের নেতাকর্মীরা। ওই বৈঠক আয়োজনসহ নেতাকর্মীদের একত্রিত করেতে নেতৃত্বদেন ডোমার সোনারায় ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর আব্দুল কুদ্দুস, জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের আমীর লিয়াকত আলী এবং পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়নের আমীর আব্দুর রাজ্জাক।

এমন খবর পেয়ে ডোমার থানা পুলিশ ওই স্থানে অভিযান চালিয়ে জামায়াত কমী কামরুজ্জা ওরফে কামু ও ইয়াকুব আলীকে আটক করে।
আটককৃত দু’জনের স্বীকারোক্তিতে ওই দিন রাতেই ডোমার থানার উপ-পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখ্য করে ডোমার থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইন একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় অজ্ঞাত আরো ৭০/৮০ জনকে আসামী করা হয়।

মামলাটি তদন্ত শেষে ওই বছরের ৮ ডিসেম্বর ৭৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জসীট দাখিল করে পুলিশ।মোট ৭৯ জন আসামীর মধ্যে ৩০ জন আসামী ছয় মাস কারাভোগের পর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিলেও পলাতক ছিল ৪৯ জন আসামী। সোমবার ৩০ জন আদালতে আত্মসর্ম্পণ করে জামিন প্রার্থীনা করলে আদালত দুই জনের জামিন মঞ্জুর করে বাকী ২৮ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ওই মামলার ২১ আসামী এখনও পলাতক রয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে