জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘এ জীবন তোমার আমার’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ১৯৯৮ সালে ঢাকাই চলচ্চিত্রে পথচলা শুরু করেন তিনি। প্রথম সিনেমায়ই নায়ক হিসেবে পেয়েছিলেন সেই সময়ের হার্টথ্রব রিয়াজকে। প্রথম ছবি দিয়েই বাজিমাত করেছিলেন। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

দিন দিন নিজেকে তিনি প্রতিষ্ঠিত করেছেন ঢাকাই ছবির অন্যতম একজন অভিনেত্রী হিসেবে। তিনি চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা।

আজ ১১ জুলাই এ নায়িকার জন্মদিন। চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ১৯৮১ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন পূর্ণিমা।

তার পারিবারিক নাম দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। চট্টগ্রামেই কেটেছে শৈশব ও প্রাথমিক শিক্ষাজীবন। অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ থেকেই চলচ্চিত্রে নাম লেখান। এরপর প্রায় দুই যুগের অভিনয় ক্যারিয়ারে শতাধিক দর্শকনন্দিত ছবি উপহার দিয়েছেন। পাশাপাশি ছোট পর্দা, অর্থাৎ টেলিভিশনেও করেছেন চমৎকার কিছু কাজ।

কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘ওরা আমাকে ভাল হতে দিলো না’ ছবির জন্য পূর্ণিমা সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন।

রিয়াজের সঙ্গে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে অভিনয় জগতে পা রাখেন। জনপ্রিয়তাও পান এই নায়কের সাথে জুটি বেঁধে। ‘এ জীবন তোমার আমার’, ‘নিঃশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি’, ‘মনের মাঝে তুমি’, ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’, ‘হৃদয়ের কথা’, ‘শাস্তি’, ‘খবরদার’, ‘শ্বশুর জামাই’, ‘টক ঝাল মিষ্টি’ ছবিগুলো জুটি হিসেবে রিয়াজ-পূর্ণিমাকে অনন্যতা দিয়েছে।

এছাড়া পূর্ণিমা সফল হয়েছেন রুবেল, আমিন খান, ফেরদৌস, মান্না, শাকিব খানদের সঙ্গে অভিনয় করে।

২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর পারিবারিকভাবে আহমেদ জামাল ফাহাদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় তারকা পূর্ণিমা। ২০১৪ সালের ১৩ এপ্রিল কন্যাসন্তান জন্ম দেন এ অভিনেত্রী। মেয়ের নাম রেখেছেন আরশিয়া উমাইজা। স্বামী সংসার নিয়ে বেশ কেটে যাচ্ছে পূর্ণিমার দিন।

বর্তমানে ‘জ্যাম‘ ও ‘গাঙচিল’ নামের দুটি সিনেমা তার হাতে। মাঝে মধ্যে টেলিভিশন শোগুলোতে পূর্ণিমার দেখা মেলে।

এখনো তুমুল জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। ভক্তদের শুভেচ্ছায় ভেসেই কাটছে তার জন্মদিন।

Ja/gN

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে