ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর নিখোঁজ সাবমেরিন কেআরআই নাঙ্গালা-৪০২ এর ৫৩ আরোহীর সবাই মারা গেছে বলে ধারণা করছে উদ্ধাকারী দল। শনিবার (২৪ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষাবিষয়ক সদর দফতর পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই শঙ্কার কথা জানান।
জন কিরবি বলেন, সাগরের যে অংশে সাবমেরিনটি ডুবেছে বলে ধারণা করা হয়েছিল, সেখানে তেল ভাসতে দেখা গেছে। তেলের ট্যাংকে ছিদ্রের ফলেই সেটি আর এগোতে পারেনি। হয়তো আরোহীদের সবার সলিলসমাধি ঘটেছে।
এর আগে ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনী জানিয়েছিল, সাবমেরিনটি ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করতে হবে। কারণ, জাহাজে তিন দিন চলার মতো অক্সিজেন রয়েছে। সে হিসেবে নাবিকদের জীবিত পেতে হলে শনিবারের (২৪ এপ্রিল) মধ্যে সাবমেরিনটি উদ্ধার করতে হবে।
গত বুধবার (২১ এপ্রিল) ভোরে জার্মানির তৈরি কেআরআই নাংগালা-৪০২ সাবমেরিনটি বালি উপকূল থেকে প্রায় ৬০ মাইল (৯৬ কিমি) দূরের পানিতে নিখোঁজ হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গভীর পানিতে ডুব দেওয়ার অনুমতি পাওয়ার পরই সাবমেরিনটি যাত্রা করে।
নৌবাহিনী জানায়, নিখোঁজ হওয়া এলাকায় তেল ভাসতে দেখা গেছে। ফুয়েল ট্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তেল ছড়াতে পারে অথবা এটা ক্রুদের পাঠানো সংকেত হতে পারে।
কয়েকটি সূত্র বলেছে, ৫৩ জন আরোহী নিয়ে সাবমেরিনটি গভীর জলে ডুব দেওয়ার পরই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর ফার্স্ট অ্যাডমিরাল জুলিয়াস উইদজোজনো এএফপিকে বলেন, নৌবাহিনী এটিকে খুঁজছে। এই অঞ্চলটি আমাদের পরিচিত, তবে এটি বেশ গভীর।
দেশটির নৌবাহিনীর ছয়টি যুদ্ধজাহাজ, একটি হেলিকপ্টার ও ৪০০ ক্রু সাবমেরিনটির অনুসন্ধানে যুক্ত রয়েছে। এ ছাড়া সাবমেরিনটির খোঁজে অনুসন্ধানকারী ও বিশেষ বিমান পাঠিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং যুক্তরাষ্ট্র।
কেআরআই নাংগালা-৪০২ ইন্দোনেশিয়ার পাঁচটি সাবমেরিনের মধ্যে একটি।
রয়টার্স জানায়, এটি ১৯৭০ এর দশকের শেষের দিকে তৈরি করা হয়েছিল। মাঝখানে মেরামতের জন্য এটিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। দুই বছর পর ২০১২ সালে এটির মেরামত কাজ শেষ হয়।
SO/N