ডেস্ক রিপোর্টঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্দোষ হলে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার উচিত বিচার কার্যক্রমকে বিলম্বিত না করে ত্বরান্বিত করা।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া আদালতের কাছে আবারো সময় চেয়েছেন। তিনি বার বার সময় চেয়ে মামলার বিচার কার্যক্রমকে বিলম্বিত করছেন। আপনি যদি নির্দোষ হন, সাহস থাকলে বিচার কাজকে বিলম্বিত না করে ত্বরান্বিত করুন। সরকার কখনো আদালতের কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করেনি, কখনো করবেও না। তাই আপনাকে আস্বস্ত করছি, আপনি নির্দোষ হলে শাস্তি পাবেন না।’
ওবায়দুল কাদের আজ বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামান্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় মহিলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি সাফিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা।
সভা পরিচালনা করেন মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম ক্রিক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়া আদালতে গিয়ে বার বার বলছেন তিনি ন্যায় বিচার পাবেন না। তাহলে কি আদালতের প্রতি তার বিশ্বাস নেই। আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে তিনি যে সময় নিয়েছেন তা নতুন বিশ্ব রেকর্ড তৈরি করেছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করলে কয়েকজন মন্ত্রীকে দুর্নীতির মামলায় নিয়মিত হাজিরা দিতে হতো না। সরকার দলীয় সংসদ সদস্যকে কারাগারে থাকতে হতো না।
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) তো ভিন্ন গ্রহের কোন বাসিন্দা নন যে আইনের ঊর্ধ্বে থাকবেন।
কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে মামলার বিচার হচ্ছে সে মামলাও বর্তমান সরকার দেয় নি। তাঁর নিয়োগ করা লোকেরাই তাঁর বিরুদ্ধে জিয়া অর্ফানেজ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দিয়েছে। তাই সরকারকে দোষ দেওয়ার কোন সুযোগ নেই।
মহিলা আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অর্জনের অভিযাত্রায় নারীদের চালকের ভূমিকা পালন করতে হবে। কারণ দেশের নারী সমাজের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর কন্যা যা করেছেন তা আর কোন সরকার করেনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের চলমান সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নারী ও নতুন ভোটারদের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের এ লক্ষ্য যাতে পূরণ হয় সেজন্য মহিলা আওয়ামী লীগকে অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে।
নির্বাচনী কর্মকান্ডে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য মহিলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, আগামী নির্বাচন হবে আওয়ামী লীগের উন্নয়ন ও অর্জনের প্রতি জনগনের ম্যান্ডেট। আর সরকারের উন্নয়ন ও অর্জনকে জনগনের সামনে তুলে ধরতে আপনাদের কাজ করতে হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে