ডেস্ক রিপোর্ট : চলতি মৌসুমে নড়াইলের ৩ উপজেলায় ১ হাজার ৭শ’ কৃষককে আউশ প্রণোদনা ও ৬০ জন কৃষককে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন প্রণোদনা দিয়েছে কৃষি বিভাগ। প্রণোদনা হিসেবে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ সরবরাহ এবং আগাছা দমন ও সেচ সহায়তা হিসেবে নগদ টাকা প্রদান করা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে নড়াইল সদর উপজেলায় ৮শ’ কৃষককে, কালিয়া উপজেলায় ৫৮০ কৃষককে এবং লোহাগড়া উপজেলায় ৩৮০ কৃষককে আউশ প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে।
উচ্চ ফলনশীল জাতের (উফশী) আউশ ধান উৎপাদনের জন্য আউশ প্রণোদনাপ্রাপ্ত একজন কৃষককে কেজি বীজ, ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি এমওপি সার এবং সেচ বাবদ ৪শ’ টাকা নগদ প্রদান করা হয়েছে। নেরিকা জাতের আউশ ধান বাবদ প্রণোদনাপ্রাপ্ত একজন কৃষককে ১০ কেজি বীজ, ১০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি এমওপি সার এবং আগাছা দমন বাবদ ৪শ’ টাকা ও সেচ সহায়তা বাবদ ৪শ’টাকা নগদ প্রদান করা হয়েছে।
এ ছাড়া বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে প্রতি উপজেলায় ২০ জন করে মোট ৬০ জন কৃষকের মাঝে লিউর বাবদ নগদ ৬৪ হাজার ৮শ’ টাকা এবং ৫৪ হাজার টাকার পট বিতরণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
নড়াইল পৌর এলাকার উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা প্রভাষ কুমার তরফদার বলেন, আউশ ধান চাষে হ্্রাস ঠেকাতে এবং উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষকরা যাতে করে বেশি জমিতে বি-আর ২৬ ও নেরিকা জাতের এ ধান চাষ করে সে লক্ষ্যে আউশ চাষিদের প্রণোদনা প্রদান করা হয়ে থাকে।
নড়াইল সদর উপজেলার ডুমুরতলা গ্রামের কৃষক মো. বাহারুল ইসলাম এবং দূর্গাপুর গ্রামের কৃষক বিপূল বিশ্বাস জানান, কৃষি প্রণোদনা পেয়ে তারা প্রত্যেকে এক একর করে জমিতে আউশ ধান চাষ করেছেন।আউশ ধানের চালের ভাত খেতে খুব সুস্বাদু।এ কারণে জেলার কৃষকদের মাঝে আউশ ধান চাষে আগ্রহ বাড়ছে বলে তারা জানান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শেখ আমিনুল হক বলেন, কৃষি প্রণোদনা পাওয়ায় কৃষকদের মাঝে আউশ ধান চাষে আগ্রহ বেড়েছে। চলতি মৌসুমে জেলার ৩উপজেলায় ৬হাজার ৪১৯ হেক্টর জমিতে আউশ ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।কৃষিপণ্য চাষে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে এর আগে গম, সরিষা, মুগ, খেসারী ও তিল চাষে কৃষি প্রণোদনা দেয়া হয়েছিল বলে তিনি জানান।
বি/এস/এস/এন