সামনে রমজান মাস। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে বা ঠিক রাখতে কঠোরভাবে মনিটরিং করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের কার্য অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ডিসিদের বলেছি সামনে রমজান মাস আসছে, কিছু কিছু জিনিসের দাম আমরা ঠিক করে দেই। সেগুলো কঠোরভাবে তদারকি করতে। সে সময় যেন তারা খুব শক্ত ভূমিকায় থাকেন, আইনগত ব্যবস্থা নেন। কোরবানির সময় চামড়া কেনাবেচার বিষয়টি যেন তদারকি করেন। কেউ যাতে ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত না হন।
ডিসিদের ওপর আমাদের অনেকখানি নির্ভরতা আছে উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন, মফস্বল থেকে আসা জিনিসপত্র নিয়ে কেউ যেন চাঁদাবাজিতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, দাম যাতে না বাড়ে, মধ্যসত্বভোগী যাতে কমিয়ে আনা যায়, কৃষক যাতে ন্যায্য দাম পায় এসব ব্যাপারে তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে।
তিনি বলেন, তেল, ডাল, চিনি, আমদানি করতে হয়। পেঁয়াজের উৎপাদন এবার ভালো হওয়ার কারণে এবং ভারত থেকে সরবারহ হচ্ছে বলে দাম রিজেনেবল রাখতে পেরেছি।
প্রতি বছর ২০ লাখ টন ভোজ্যতেল দরকার হয় জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে মাত্র দুই লাখ টন ভোজ্য তেল হয়। বাইরে থেকে তেল আনতে হয় বলে আন্তর্জাতিক বাজারে যখন দাম বাড়ে তখন দেশেও এর প্রভাব পড়ে। তেলের কন্টেইনারের দাম যেটা দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা ছিলো সেটার দাম ৮-১০ হাজার হয়েছে। যার ফলে দামের ওপর প্রভাব পড়ে। ফলে দেড়-দুই মাস পর পর বসে দাম সমন্বয় করতে হচ্ছে।
টিপু মুনশি বলেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সমন্বয় না করলে সামনে রমজান মাস তারা তো এলসি ওপেন করবে না, সেটা আরও ভয়াবহ হবে। এ জন্য তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে, আগামী মাসের ৬-৭ তারিখে বসে আন্তর্জাতিক বাজার এবং এর সঙ্গে আনুষঙ্গিক খরচ মিলিয়ে দাম নির্ধারণ করব। এ বিষয়ে আজ আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, যদি ব্যবসায়ীরা দেখে লস হবে, তখন কি সরকার তাকে ফোর্স করতে পারে? এ জন্য তাদের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। আমাদের দেখতে হবে তারা যাতে বেশি লাভ করতে না পারে। লস দিয়ে তারা তো আমদানি করবে না।
ban/N