মোঃ আমজাদ হোসেন, জয়পুরহাট: জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে কৃষকের নিকট থেকে আলু ক্রয় করে সেই টাকা পরিশোধ না করে তালবাহনা করছেন কৃষকলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ।
বাধ্য হয়ে ভুক্তভোগী কৃষকের পক্ষে নরেশ চন্দ্র নামের এক কৃষক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার পৌর সভাধীন রাধাবাড়ি এলাকার ১৮ জন কৃষক চলতি মৌসুমে তাদের উৎপাদিত আলু দলবদ্ধ ভাবে জনৈক জাহিদুল ইসলামের মাধ্যমে গত ১২ মার্চ উপজেলার গোড়না বাজারের মিম্মা ট্রেডাসের স্বত্তাধিকারী ইকবাল কবির মিল্টনের নিকট ৫৫০ বস্তা আলু বিক্রয় করেন।
সেদিন ব্যাংক বন্ধের অজুহাতে টাকা না দিয়ে পরের দিন ১৩মার্চ আরো আলু নিয়ে সম্পূণ টাকা পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দেন। পরের ঐ কৃষকদের নিকট থেকে আরো ৫৫০ বস্তা আলু ক্রয় করে। মোট ১১শ বস্তা আলুর মধ্যে মাত্র ৫ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা পরিশোধ করে অবশিষ্ট ৬ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা পরিশোধ না করে তালবাহনা শুরু করেন এবং টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন অশ্লীন ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করেন।
কৃষক নরেশ চন্দ্র বর্মন সহ একাধিক কৃষক অভিযোগ করে বলেন,আমার জিম্মায় ১৮জন কৃষকের ১১শ বস্তা আলু মিল্টনের নিকট বিক্রয় করি। সেই আলুর অবশিষ্ট টাকা চাইতে গেলে তিনি আমাদের বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি ও প্রাণ নাশের হুমকি দেন।
এবিষয়ে মিম্মা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আলু ব্যবসায়ী মিল্টনের নিকট জানতে চাইলে প্রথমে তিনি এবিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানালেও পরে বলেন, যারা আমার কাছে টাকা পাবে তারা আসবে। থানা পুলিশ আমাকে কি করবে। এক সময় তিনি রেগে গিয়ে সাংবাদিকদের সামনে অশ্লীল ভাষায় কৃষকদের গালিগালাজ ও তাদের মেরে ফেলারও হুমকি দেন।
স্থানীয় কাউন্সিলর আনিছুর রহমান বাচ্চু বলেন,আমার এলাকার কৃষকরা সরল বিশ্বাসে তার নিকট আলু বিক্রয় করে। অথচ তিনি তাদের টাকা না দিয়ে দিয়ে তালবাহনা করছেন। তিনি আরো বলেন, ১৮ জন কৃষক তাদের আলু বিক্রির টাকা দিয়ে ইরি- বোরো জমিতে সার কীটনাশক দেওয়ার কথা থাকলে সেটি আর দিতে পারছেনা। পাশাপাশি সামনে ঈদুল ফিতরের আনন্দও নিরানন্দ হয়ে গেছে। কৃষকদের টাকা উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট অনুরোধ জানিয়েছেন।