মো:আমজাদ হোসেন, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি: ৩১, ১২, ২০২২ ইং জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলাতে প্রায় কযেক দিন যাবৎ ভোর থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশা ঘেরা চাদরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ।
ছোট ছোট অনেক শিক্ষার্থীদের স্কুল ও মাদ্রাসা নামক শিক্ষাঙ্গনে যেতে পারছে না ।বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষেরা আজ আধাবেলা থাকে বেকারের মতোই । পৌষের ঘন কুয়াশায় শীত জেগে বসেছে গ্রামগুলোতে ।
বয়স্ক লোকজন ঘনকুয়াশায় ঠান্ডা জনিত রোগ থেকে রক্ষা পেতে দরজা জানালা লাগিয়ে লেপ কিংবা কম্বল মুড়িয়ে নিজেকে রক্ষা চেষ্টা চালায়। শিশুরা যেন অসুস্থ হয়ে না পড়ে এজন্য পিতা মাতারা তাদের সাধ্য অনুযায়ী যত্ন চালিয়ে যাচ্ছে ।অনেকেই আজ বাজারে না গিয়ে ফ্রিজে রাখা মাছ ও মাংস তরকারি দিয়ে রান্না কাজ সেরেছেন ।মহিলারা রান্না ঘরে না গিয়ে ঘরের ভিতরে গ্যাসের রান্না করতে দেখা যায়।
ঘনকুয়াশায় হারিয়ে গেছে যেন স্বচ্ছ পরিস্কার নীল আকাশ সড়ক ও জনপথ। উপজেলা জুড়ে রাস্তা ঘাট সড়ক মহাসড়কের নদী পথে চোখে মেললে দৃষ্টিসীমা ঘনকুয়াশা আটকে যায় ।আটক গিয়ে সূর্যের আলো ও তেজ উত্তর পশ্চিমে দিকের হিমেল হাওয়া বাতাসে কাঁপছে পুরো উপজেলা ।গত মঙ্গলবার ২৭ ডিসেম্বর মধ্য রাত থেকে সকাল১২ টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে এ উপজেলা । আধাবেলা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলে না ।দিনের বেলায় হেডলাইট জানিয়ে যানবাহন চলাচল করছে সড়ক মহাসড়কের দিয়ে ।তবে দেরিতে হলেও ডিসেম্বর মাসের শেষ ভাগে এ উপজেলায় কনকনে শীতের প্রকাশ ঘটল মঙ্গলবার সকালে কালাই, ক্ষেতলাল, আক্কেলপুর, ও জয়পুরহাট সদর ঘুরে দেখা যায় একই চিত্র । তবে কুয়াশায় মধ্যে ও থেমে নেই কর্মজীবি মানুষের চলাচল এই ঠান্ডার মধ্যে ও সকালে কৃষকরা মাঠে কাজ করতে দেখা যায় ।বেলা বারার সাথে সাথে এই বছরের শেষ সপ্তাহের কর্মদিবসে অফিসগামী মানুষের ভিড় দেখা যায় সড়ক গুলোতে এবং সড়কে গাড়ির চাপ পড়ে ।তবে ধীর গতিতে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে ।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে সারা দেশে শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা ও মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে ।
এতে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যয়ের মূখে পরলেও এখনো সূরক্ষিত রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও কৃষি বিভাগ। তবে এই অবস্থা চলতে থকলে জনজীবন ব্যাহত হওয়া ছাড়াও আলু ও সরিষাসহ শীত কালীন সাক-সবজির ক্ষেতে ছত্রাকসহ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ের আক্রমন হতে পারে। এ ছাড়া সর্দ্দি, র্জর কাশি ছাড়াও করোনা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে জানিয়েছে কৃষি ও স্বাস্থ্য বিভাগ।