মোঃআমজাদ হোসেন: জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার পৌর শহরের বালিঘাটা বাজারের মৃত তালেবের ছেলে আবুল কালাম (৬০) জায়গা জমি, ঘরবাড়ি না থাকায় দীর্ঘ ১৭ বছর যাবত থাকেন রেল স্টেশনে, স্টেশন মসজিদ গেটের দক্ষিণ পাশে ঝুপড়ি ঘড়ে, স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে কাটিয়েছেন ১৭টি বছর, ছিল না কোন কর্মসংস্থান, ওই সময় পাঁচবিবি ইসলামী ব্যাংক শাখা থেকে তাকে একটি রিক্সা কিনে দেওয়া হয়, রিক্সা চালিয়ে সামান্য আয় দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেত, হঠাৎ স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাহার উন্নত চিকিৎসার জন্য রিক্সাটি বিক্রি করে দেন কিন্তু চিকিৎসা করে ও স্ত্রীকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি, স্ত্রী মারা যাবার পর তিনি স্টেশন মসজিদের গেট থেকে প্রায় ৫ বছর আগে বর্গা হাটি এসে একটি গুমটি দোকান ঘরে পান বিক্রি শুরু করেন, ওখানেই থাকেন ওখানেই খান, এই শীতে ও ছিলনা তাহার ভালো একটি কম্বল, লেপ, অথবা গদি, স্টেশন মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, কিন্তু নাই তাহার ভালো কোন পোশাক, এভাবেই চলছে তার দিন, বৃদ্ধ মা আছেন কিন্তু জায়গা, ঘর, বাড়ি না থাকায় মাকে কাছে রাখতে পারছেন না, বৃদ্ধ মা বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিত জনদের বাড়িতে থাকেন,
বুধবার একুশে ফেব্রুয়ারি আবুল কালাম এর সাথে চা খেতে খেতে একান্ত আলাপচারিতায় বললেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা ২০ কোটি মানুষের আস্থার শেষ ঠিকানা, জননেত্রী শেখ হাসিনা, যাদের জায়গা নেই, যাদের ঘর নাই, এদের অনেক মানুষকেই জায়গা দিয়েছেন ঘর দিয়েছেন, কিন্তু আমি এত অসহায় দরিদ্র হয়েও একটি ঘর পেলাম না, একটি ঘর পেলে বৃদ্ধ মা এবং সন্তানদের নিয়ে থাকতে পারতাম, একটি ঘরের জন্য আমি অনেকবার পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর লিখিত আবেদন দিয়েছি, কিন্তু ওই আবেদন পর্যন্তই হয়ে আছে, হয়নি আমার থাকার কোন ব্যবস্থা,
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জয়পুরহাট ১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য, জয়পুরহাট জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক, পাঁচবিবি মেয়র মহোদয়, পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতি তিনি আকুল আবেদন জানিয়েছেন, তাকে যেন এই শেষ বয়সে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া একটি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়, তাহলে তিনি বৃদ্ধ মা সন্তানদের নিয়ে থাকতে পারবেন ওই ঘরে, হবে মাথা গোজার একটি ঠাঁই,
এ বিষয়ে সাংবাদিকেরা পাচবিবি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে ওনাকে পাওয়া যায়নি।