বিনোদন প্রতিনিধি : মারুফ সরকার : এবার প্রকাশিত হল ‘সুরাইয়া’র টিজার । সম্প্রতি প্রকাশ পায় মুক্তির আগেই আলোচনায় আসা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘সুরাইয়া’র অফিসিয়াল পোস্টার। শিবা আলী খানের মুখাবৃত নান্দনিক এই পোস্টারে আরো বেশি কৌতূহলী হয়ে ওঠেন শিল্পপ্রেমীরা। Flick entertainment এর ব্যানারে এবার প্রকাশিত হল ব্যতিক্রমী গল্প-আবহে নির্মিত এই ছবির চমকিত টিজার। বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক জগতের অন্যতম মেধাবী তরুণ নাট্য নির্মাতা অনিরুদ্ধ রাসেলের পরিচালনায় সম্প্রতি নির্মিত হয়েছে এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। ‘সুরাইয়া’ (দ্য রুট অব অরিজিন)-এর মূল গল্প ভারতের লেখক ও সাংবাদিক কুলদীপ নায়ার এর। এটি কাহিনি বিন্যাস, সংলাপ ও চিত্রনাট্য করেছেন সজল আহমেদ এবং অনিরুদ্ধ রাসেল। ভারটেক্স প্রডাকশন প্রযোজিত এ চলচ্চিত্রের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- শহীদুজ্জামান সেলিম, শিবা আলী খান, এ কে আজাদ সেতুসহ আরও অনেকে।
‘সুরাইয়া’ গল্পটি ভারত পাকিস্তানের দেশভাগের সময়ে রাওয়ালপিন্ডির একজন শিখ নারীর জীবন থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন লেখক। ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান দেশভাগের সময় রাওয়ালপিন্ডির একটি শিখ পরিবারের মেয়ে আনুশকা। যার বিবর্তিত নাম সুরাইয়া (ছদ্ম নাম)। সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের গল্পে দেখা যাবে, ভারত ও পাকিস্তানের দেশ ভাগের সময় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা পাকিস্তান আর হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা ভারত হওয়াতে পাকিস্তানের মুসলিম অধ্যুষিত সংখ্যালঘিষ্ঠ হিন্দুরা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় ৭ বছর বয়সী আনুশকা তার পরিবার পরিজনকে হারিয়ে রাওয়ালপিণ্ডির এক মুসলিম পরিবারে আশ্রয় নেয়। আর এই ছোট্ট আনুশকা ঐ মুসলিম পরিবারে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে, তাদের আদর্শে মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে, কোরআন হাদীসের ব্যাপক জ্ঞান অর্জন করে।
আনুশকা হয়ে যায় সুরাইয়া। সুরাইয়া অত্র এলাকায় একজন সত্যিকারের এবং পরিপূর্ণ মুসলিম নারী হিসেবে বেড়ে ওঠে। জীবনের ৩২টি বছর পার হয়ে স্বামী, সন্তান সুখের সংসার, তালিম, মাদ্রাসার শিক্ষকতা নিয়ে ভালই কাটছিল দিন। কিন্তু ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয় যখন হঠাৎ করে সুরাইয়ার সামনে অতীত এসে দাঁড়ায়। ছবিটি প্রসঙ্গে পরিচালক অনিরুদ্ধ বলেন, ‘কাজটি আমার জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। কারণ ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি। কিন্তু প্রেক্ষাপটের আলোকে আমাদের সেট বানিয়ে, গ্রাফিক্স করে সেসব পরিবেশ বোঝাতে হয়েছে। তাছাড়া পিরিওডিক্যাল ছবির কাজ বরাবরই কঠিন। চরিত্রের মুখে বাংলা ভাষা থাকলেও কিছু জায়গায় ইংরেজি ও উর্দু ভাষা লেখা দেখাতে হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত শিল্পী-কলাকুশলীদের আন্তরিক প্রচেষ্টার করণেই ভালোভাবে কাজটি তুলে আনা সম্ভব হয়েছে। আশা করছি, আমাদের এই প্রয়াস দর্শকদের অনুভূতিতে ভিন্ন এক মুগ্ধতা জাগাবে।’ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘সুরাইয়া’ আন্তর্জাতিক বেশ কিছু উৎসবে অংশ নিবে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা অনিরুদ্ধ রাসেল।
মারুফ সরকার : বিনোদন প্রতিনিধি : এবার প্রকাশিত হল ‘সুরাইয়া’র টিজার । সম্প্রতি প্রকাশ পায় মুক্তির আগেই আলোচনায় আসা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘সুরাইয়া’র অফিসিয়াল পোস্টার। শিবা আলী খানের মুখাবৃত নান্দনিক এই পোস্টারে আরো বেশি কৌতূহলী হয়ে ওঠেন শিল্পপ্রেমীরা। Flick entertainment এর ব্যানারে এবার প্রকাশিত হল ব্যতিক্রমী গল্প-আবহে নির্মিত এই ছবির চমকিত টিজার। বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক জগতের অন্যতম মেধাবী তরুণ নাট্য নির্মাতা অনিরুদ্ধ রাসেলের পরিচালনায় সম্প্রতি নির্মিত হয়েছে এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। ‘সুরাইয়া’ (দ্য রুট অব অরিজিন)-এর মূল গল্প ভারতের লেখক ও সাংবাদিক কুলদীপ নায়ার এর। এটি কাহিনি বিন্যাস, সংলাপ ও চিত্রনাট্য করেছেন সজল আহমেদ এবং অনিরুদ্ধ রাসেল। ভারটেক্স প্রডাকশন প্রযোজিত এ চলচ্চিত্রের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- শহীদুজ্জামান সেলিম, শিবা আলী খান, এ কে আজাদ সেতুসহ আরও অনেকে।
‘সুরাইয়া’ গল্পটি ভারত পাকিস্তানের দেশভাগের সময়ে রাওয়ালপিন্ডির একজন শিখ নারীর জীবন থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন লেখক। ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান দেশভাগের সময় রাওয়ালপিন্ডির একটি শিখ পরিবারের মেয়ে আনুশকা। যার বিবর্তিত নাম সুরাইয়া (ছদ্ম নাম)। সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের গল্পে দেখা যাবে, ভারত ও পাকিস্তানের দেশ ভাগের সময় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা পাকিস্তান আর হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা ভারত হওয়াতে পাকিস্তানের মুসলিম অধ্যুষিত সংখ্যালঘিষ্ঠ হিন্দুরা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় ৭ বছর বয়সী আনুশকা তার পরিবার পরিজনকে হারিয়ে রাওয়ালপিণ্ডির এক মুসলিম পরিবারে আশ্রয় নেয়। আর এই ছোট্ট আনুশকা ঐ মুসলিম পরিবারে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে, তাদের আদর্শে মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে, কোরআন হাদীসের ব্যাপক জ্ঞান অর্জন করে।
আনুশকা হয়ে যায় সুরাইয়া। সুরাইয়া অত্র এলাকায় একজন সত্যিকারের এবং পরিপূর্ণ মুসলিম নারী হিসেবে বেড়ে ওঠে। জীবনের ৩২টি বছর পার হয়ে স্বামী, সন্তান সুখের সংসার, তালিম, মাদ্রাসার শিক্ষকতা নিয়ে ভালই কাটছিল দিন। কিন্তু ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয় যখন হঠাৎ করে সুরাইয়ার সামনে অতীত এসে দাঁড়ায়। ছবিটি প্রসঙ্গে পরিচালক অনিরুদ্ধ বলেন, ‘কাজটি আমার জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। কারণ ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি। কিন্তু প্রেক্ষাপটের আলোকে আমাদের সেট বানিয়ে, গ্রাফিক্স করে সেসব পরিবেশ বোঝাতে হয়েছে। তাছাড়া পিরিওডিক্যাল ছবির কাজ বরাবরই কঠিন। চরিত্রের মুখে বাংলা ভাষা থাকলেও কিছু জায়গায় ইংরেজি ও উর্দু ভাষা লেখা দেখাতে হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত শিল্পী-কলাকুশলীদের আন্তরিক প্রচেষ্টার করণেই ভালোভাবে কাজটি তুলে আনা সম্ভব হয়েছে। আশা করছি, আমাদের এই প্রয়াস দর্শকদের অনুভূতিতে ভিন্ন এক মুগ্ধতা জাগাবে।’ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘সুরাইয়া’ আন্তর্জাতিক বেশ কিছু উৎসবে অংশ নিবে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা অনিরুদ্ধ রাসেল।