মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, দেশের জলসীমায় আহরণ নিষিদ্ধকালে কোনভাবেই ইলিশ মাছ ধরতে দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, ইলিশের এই প্রজনন সময়ে কোনভাবেই মা ইলিশ আহরণ করতে দেয়া হবে না। মা ইলিশ থাকতে পারে এমন কোন নদীতেও মাছ ধরতে দেয়া হবে না।
মন্ত্রী আরো বলেন, কোন নৌকা বা জাহাজকে ইলিশ ধরা থেকে বিরত রাখতে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের টহলের পাশাপাশি অত্যাধুনিক উপায়ে মনিটর করা হবে। বিদেশ থেকে কোন মাছ ধরার যান্ত্রিক নৌযান এলে সেটাকেও আইনানুগ প্রক্রিয়ায় আটক করা হবে।
শ ম রেজাউল করিম আজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২০ বাস্তবায়ন উপলক্ষে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন।
এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব শাহ মো. ইমদাদুল হক, সুবোল বোস মনি ও শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ ও বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
রেজাউল করিম বলেন, এ বছর বিশ্বে উৎপাদিত মোট ইলিশের ৮০ শতাংশের বেশি বাংলাদেশে উৎপাদিত হয়েছে। ইলিশের আকার ও স্বাধ অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক ভালো। ইলিশ মাছ একটা সময় দুষ্প্রাপ্য হয়ে যাচ্ছিল, সেই ইলিশ এখন সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর, সংস্থা, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড, মাঠ প্রশাসন সমন্বিতভাবে কাজ করায় এই সফলতা লাভ করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত মা ইলিশ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড ও মৎস্য অধিদপ্তর সম্মিলিতভাবে এই কর্মসূচী বাস্তবায়ন করবে।
মন্ত্রী বলেন, দেশের ৩৬ জেলার ১৫২ উপজেলায় আমাদের কর্মসূচী থাকবে। যারা ইলিশ আহরণ বা বিক্রি করতে পারবে না তাদেরকে আমরা পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা দিচ্ছি। যাতে মৎস্যজীবী, মৎস্য আহরণকারী বা এই প্রক্রিয়ায় যারা জড়িত তাদের একজনও যাতে খাদ্য সংকটে না থাকে।
ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালে সংশ্লিষ্ট এলাকার বরফকল খুলতে দেয়া হবে না বলেও জানান তিনি।

BSSN

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে