প্রতিবেশীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার যে পররাষ্ট্র নীতি ভারতের রয়েছে, সেখানে বাংলাদেশই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় বলে জানিয়েছেন ঢাকা সফররত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বৈঠক করেন জয়শঙ্কর। পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
জয়শঙ্কর বলেন, করোনা মহামারির প্রভাবে বিশ্বজুড়ে স্থবিরতার সময়ও বাংলাদেশ ও ভারতের চমৎকার সম্পর্ক বজায় ছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটায় দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থা এগিয়ে নেওয়ার ওপর জোর দেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, প্রতিবেশীদের মধ্যে ভারত বাংলাদেশের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতার মানসিকতা নিয়ে দুই দেশ বেশ কিছু পুরোনো সমস্যা সমাধান করেছে। তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিসহ অন্যান্য সব সমস্যাও মিটে যাবে শিগগির।
এদিকে, বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে জয়শঙ্কর বলেন, যোগাযোগ ও জলবিদ্যুতের মতো খাতে ভারত আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করতে চায়।
র্যাবের ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য বাংলাদেশ ভারতের সহযোগিতা চেয়েছে বলে গত মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
প্রসঙ্গটি টেনে এক সাংবাদিক জয়শঙ্করের কাছে জানতে চান, ভারত কীভাবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে পারে? জয়শঙ্কর উত্তর দেওয়ার আগেই মোমেন বলেন, আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি।
পরে জয়শঙ্কর বলেন, আমার মনে হয়, এই প্রশ্ন আমাকে নয়, আপনারা পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনকে করুন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের জন্য দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণপত্র নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকায় আসেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিন বিকেলে গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ওই আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন জয়শঙ্কর। শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সকালে ঢাকা ছেড়ে যাবেন তিনি।
এর আগে ২০২১ সালের মার্চে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন জয়শঙ্কর।
Jag/N