বিডি নীয়ালা নিউজ(২৭ই ফেব্রুয়ারী১৬)- রাজনৈতিক প্রতিবেদনঃ ‘দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ার কারণে বিএনপি তৃণমূল পর্যায়ে এখনো বেঁচে আছে’ বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি আরও বলেন, প্রতীক থাকায় তৃণমূলে মানুষ ধানের শীষ দেখে বিএনপিকে মনে রেখেছে। বিএনপিকে স্বীকার করতেই হবে প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় আজ তৃণমূল পর্যায়ে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে।
আজ শনিবার দুপুরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের রসুলপুরে সাংসদ (নোয়াখালী-২) মোরশেদ আলমের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল গ্রুপের ‘বেঙ্গল ফিড অ্যান্ড ফিশারিজ লিমিটেড’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে মরা গাঙে কখনো জোয়ার আসে না, সেখানে বিএনপি আজ তৃণমূলে ধানের শীষ প্রতীক দিতে পারছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনসংক্রান্ত সবকিছু দেখার মালিক নির্বাচন কমিশন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের বাধা দেওয়ার যদি কোনো অভিযোগ থেকে থাকে তা স্পষ্ট করে বলতে হবে। কোথায় কারা বাধা দিচ্ছে, তা সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারলে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচনে সব নিবন্ধিত দলেরই অংশগ্রহণ করার অধিকার আছে। এটা সাংবিধানিক অধিকার। সুতরাং কাউকে বাধা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপি নিজেই নিজেদের বাধা, বড় দল হিসেবে তারা ভয়কে জয় করতে পারেনি। ভয়কে জয় করার সাহস তাদের নেই। এত বছরেও তারা একটি বড় আন্দোলন সংগঠিত করতে পারেনি। বড় দলের বড় সাহস না থাকলে দল সংকুচিত হবেই। বিএনপিকে মনে রাখতে হবে তাদের বড় সংকট সাহস না থাকা।
আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সেতুমন্ত্রী বলেন, ইউপি নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যদি কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন, তাহলে তাঁকে পৌর নির্বাচনের মতো দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। সম্প্রতি যাঁরা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে পৌর নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তারাও শোকজ থেকে রক্ষা পাননি। তাই ইউপি নির্বাচনে যাঁরা বিদ্রোহী হতে চাচ্ছেন, তাঁদেরও বহিষ্কার মেনে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাংসদ (নোয়াখালী-৩) মামুনুর রশিদ কিরণ, জেলা পরিষদের প্রশাসক এ বি এম জাফর উল্লাহ, চৌমুহনী পৌর মেয়র আক্তার হোসেন, জেলা প্রশাসক বদরে মুনির ফেরদৌস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য দেন বেঙ্গল ফিড অ্যান্ড ফিশারিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফিরোজ আলম।