বিডি নীয়ালা নিউজ(৪জানুয়ারি১৬)- অনলাইন প্রতিবেদন: উৎপাদনের ব্যয় কমাতে জ্বালানি তেলের দামের সমন্বয় চান বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা। জ্বালানি তেলের দাম কমলে অর্থনীতির কতটা উপকার হবে তা রীতিমতো অঙ্ক কষেও দেখাচ্ছেনঅর্থনীতিবিদেরা। সাধারণ ভোক্তারাও চান তেলের দাম কমুক, তাতে প্রতিদিনকার পরিবহন ব্যয় খানিকটা কমবে।
গত ১১ বছরের মধ্যে বিশ্ববাজারে তেলের দাম সর্বনিম্ন হওয়ায় এই দাবিটি আরও জোরালো হয়েছে। গতকাল রোববার ব্যবসায়ীদের প্রভাবশালী সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) নেতারা অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে দেখা করে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছেন।
আর বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর সুপারিশ করেছেন। তারা বলছে, দেশে জ্বালানি তেলের দাম গড়ে ১০ শতাংশ কমানো হলে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি দশমিক ৩ শতাংশ বাড়বে।
সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য গতকাল এ নিয়ে বলেন, জ্বালানি তেলের দাম না কমানোয় রাজস্ব আদায় কম হওয়ার পরও ‘নিশ্বাস’ ফেলতে পারছে সরকার। এখন উৎপাদক ও ভোক্তাকেও ‘নিশ্বাস’ ফেলতে দিতে হবে।
এমসিসিআইয়ের সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, ‘লিটারপ্রতি ডিজেলে ১০ ও অকটেনে ২০ টাকা কমানো হলে সরকারের খুব বেশি মুনাফা কমবে না। তবে আমরা ব্যবসায়ীরা একটু নিশ্বাস ফেলার সুযোগ পাব।’
সরকার সর্বশেষ জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে। সে সময় বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য ছিল ৯৭ ডলার। আর এখন তা ৩৬ ডলার। ফলে এখন সরকার প্রতি লিটার অকটেনে মুনাফা করছে প্রায় ৪০ টাকা, আর কেরোসিন, ডিজেল ও ফার্নেস তেলে মুনাফা করছে ১৫ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত।
এর আগে সরকারের পক্ষ থেকে বারবারই তেলের দাম কমানো হবে না বলে জানানো হয়েছিল। তবে এই দফায় বিশ্ববাজারে তেলের দাম এতটাই কমেছে যে এবার আর সরাসরি নাকচ করেননি অর্থমন্ত্রী। তবে শিগগিরই দাম কমছে সে ভরসাও দেননি। এমসিসিআইয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি বলেছেন, সরকার দাম কমানোর জন্য নতুন উদ্যোগ নেবে। তবে এর আগে এ বিষয়ে একটি নীতিমালা করবে। তবে নীতিমালায় কী থাকবে, তা তিনি বলেননি।
এ নিয়ে জ্বালানি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনে (বিপিসি) খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দাম কমানোর বিষয়ে সরকারের কোনো পক্ষ থেকেই কোনো ধরনের নির্দেশনা আসেনি।