কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ঐহিত্যবাহী বিদ্যাপিঠ মাগুড়া উচ্চ বিদ্যালয় ২০২২ সালের এস.এস.সি পরীক্ষায় ১৭৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয় এবং ভোকেশনাল শাখায় অংশ নেয় ৫১ জন।
ফল প্রকাশের পর দেখা গেছে জেনারেল ও বিজ্ঞান শাখার চেয়ে ভোকেশনাল শাখা ভাল ফলাফল করেছে। অথচ সেই ভোকেশনাল শাখাটি কোন এক অদৃশ্য কারনে এখন পর্যন্ত এমপিও ভুক্ত হয়নি।
অত্র বিদ্যালযের অফিস সহকারি অনিছুর রহমান বাদল জানান অত্র বিদ্যালয়ের জেনারেল ও বিজ্ঞান শাখা মোট ১৭৯জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয় এর মধ্যে ১৪১ জন কৃতকার্য হয় এবং ভোকেশনাল শাখা থেকে মোট শিক্ষার্থী অংশ নেয় ৫১ জন এর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৪৮ জন।
জেনারেল ও বিজ্ঞান শাখায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন। শাহাজাহান ইসলাম, আরমান ইসলাম, মাসুদ মিয়া, শ্রী অন্তর রায়, মারফিয়া আক্তার, স্বরণিকা আক্তার এবং ভোকেশনাল শাখা থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন নুরনবী ইসলাম, সাব্বির হোসাইন ও শাহ আলী ওয়ারেছ।
ভোকেশনাল শাখা থেকে জিপিএ-৫ অর্জনকারী নুরনবী ইসলাম বলেন ভাল ফলাফল করেও কলেজে ভর্তি নিয়ে অনিশ্চিয়তায় ভূগছি, বিধবা মা অন্যের বাড়িতে কাজ করে আমার লেখা পড়ার খরচ চালান যদি কোন কারনে মা অসুস্থ হয়ে যায় তখন আমার কি হবে।
তাই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করা দরিদ্র শিক্ষার্থী আরমান ইসলাম বলেন প্রতিদিন একাধারে রুটিন মাফিক পড়াশুনা করার সুযোগ হয়ে ওঠেনি।
প্রায়ই সময় দিনমজুর বাবার সাথে কাজের সহযোগিতা করতে হয়েছে। তার এই ভাল ফলাফলের পিছনে পিতা-মাতা, প্রাইভেট শিক্ষকসহ বিদ্যালয়ে সকল শিক্ষকের অবদান রয়েছে। সে বড় হয়ে ডাক্তার হতে চান। এতগুলো জয়গায় থাকতে ডাক্তার হওয়ার কারন কি? জানতে চাইলে সে বলেন এটি এমন একটি মহৎ পেশা যা অসহায় মানুষের অনেক উপকারে আসা যায়। এ ব্যাপারে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুছ এর সাথে মুঠো-ফোনে কথা হলে তিনি বক্তব্য দিতে রাজি হয়ননি বলে ফোন কেটে দেন।