আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় মাইকেল ‘অকল্পনীয় ধ্বংসযজ্ঞ’ চালিয়েছে। এতে অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড় মাইকেলের কারণে প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ছয়জন। বেশিরভাগই ফ্লোরিডার বাসিন্দা।
ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর রিক স্কট বলেছেন, রাজ্যটিতে ‘অকল্পনীয় ধ্বংসযজ্ঞ’ চালিয়েছে হারিকেন মাইকেল। এতে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ২৭ জনকে বিপজ্জনক অবস্থা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, মাইকেলের তাণ্ডবে অনেকের জীবন একেবারেই বদলে গেছে, অনেক পরিবার সব হারিয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বুধবার ঘণ্টায় আড়াইশ কিলোমিটার গতির বাতাস নিয়ে আছড়ে পড়া মাইকেল উপকূল সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোর অসংখ্য ভবন ও গাছ গোড়া থেকে উপড়ে ফেলেছে। মাইকেলের কারণে ফ্লোরিডা, আলাবামা, ক্যারোলাইনা ও জর্জিয়ার ৯ লাখেরও বেশি বাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
হারিকেনটির আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ফ্লোরিডার উত্তর-পশ্চিম উপকূলে। ঝড়টি এখন দুর্বল হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোর দিকে অগ্রসর হচ্ছে মাইকেলে অন্তত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কর্মকর্তারা। ক্ষতি এড়াতে ঝড়ের আগেই তিন লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে নির্দেশনা দেয়া হয়।
ফ্লোরিডার গভর্নর স্কট বুধবার রাতেই জরুরি বিভাগের কর্মীরা ১০টি অভিযান চালিয়ে অন্তত ২৭ জনকে উদ্ধার করে বলে জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানা অন্যতম শক্তিশালী এ ঝড়টি সেদিন স্থানীয় সময় দুপুরেই মেক্সিকো বিচ শহরের কাছে ফ্লোরিডার প্যানহ্যান্ডেলে আছড়ে পড়েছিল। আঘাত হানার সময় পাঁচ মাত্রার প্রায় কাছাকাছি শক্তি ধারণ করা মাইকেলের কারণে বিভিন্ন এলাকায় ৯ ফুট পর্যন্ত উঁচু ঢেউ দেখা গেছে।
অসংখ্য গাছ পড়ে রয়েছে মেক্সিকো বিচের উত্তর-পশ্চিমের শহর পানামা সিটিতে।আপালাচিকোলা শহরও তছনছ হয়ে গেছে। ছিঁড়ে পড়া বিদ্যুতের তারের কারণে সেখানে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন শহরটির মেয়র।নিরাপদে সরে যাওয়া বাসিন্দাদের এখনই বাড়ি না ফিরতেও অনুরোধ করেছেন গভর্নর স্কট।
যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলে আছড়ে পড়ার আগে মাইকেল মধ্য আমেরিকার দেশগুলোতেও ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। ঘূর্ণিঝড়টির তাণ্ডবে নিকারাগুয়া, হন্ডুরাস ও এল সালভাদরে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
J/N.