আসাদ হোসেন রিফাত, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
চলতি মাসের শুরু থেকেই আগাম জাতের আলু বাজারে উঠলে আলুর দাম বেশি থাকলেও আলুর দাম এখন কমতে শুরু করেছে । তারপরও নানাদিক বিবেচনা করে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার চাষিরা অধিক লাভের আশায় দ্বিতীয় দফায় আলু চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। আবহাওয়া ভালো থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।
সুত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে বেশকিছু মাঠে আলু চাষ করা হয়েছে। এ বছর উপজেলায় মোট ৫৯০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১০ হেক্টর বেশি। উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের ধওলাই ও কেতকীবাড়ি ব্লকে আলু চাষ বেশি হয়েছে। এছাড়াও গোতামারী, টংভাঙ্গা ইউনিয়নে আলু চাষ হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য ইউনিয়নে কম-বেশি আলু চাষ হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় চাষিরা জানান, মাটির গুনাগুনভেদে এ অঞ্চলের দুই জাতের আলু চাষ করা হয়েছে। একটি কার্ডিনাল অপরটি ডায়মন্ডসহ অন্যান্য জাতের আলু। এ বছর বেশি দামে আলু বীজ কিনতে হয়েছে। এরপর সর-কীটনাশকের দামও বেশি। অন্য বছরের চেয়ে চলতি বছর আলু চাষে তাদের খরচ বেশি হয়েছে। তবে কয়দিন আগে আলুর দর বেশী থাকায় লাভবান হওয়ার স্বপ্নবুনে ছিলেন তারা। দামের ওই ধারাবাহিকতা থেকে গেলে চাষিরা বেশ লাভবান হবে বলে আশা করছেন। উপজেলার দইখাওয়া বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী দেবেন্দ্র কুমার জানান, বর্তমানে নতুন আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পুরনো আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা কেজিতে। তবে মাঝে মধ্যে আলুর দাম হঠাৎ করে বাড়ে এবং কমে।
উপজেলার পূর্ব নওদাবাস এলাকার আলু চাষি পলাশ চন্দ্র জানান, এ বছর আলুর দাম বেশী ছিলো যার ফলে অন্য বছরের তুলনায় এবার মানুষ আলু চাষ বেশি করেছে। ব্যয়ও অন্য বছরের তুলনায় বেশি। কিছু কৃষক আলু তোলা শুরু করেছেন। তারা পাইকারি ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করছেন। বর্তমান বাজারে আলুর দাম কম হওয়া লাভের আশা না করেছেন তিনি।
হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি অফিসার মো: ওমর ফারুক জানান, আলুর বাজার দর ভালো থাকায় এ বছর আলুর চাষ বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার ১০ হেক্টর বেশি জমিতে আলু চাষ হয়েছে। যা গতবছর ৫৮০ হেক্টর ছিলো। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার আলুর বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে। গড় ফলন হেক্টর প্রতি ২৩ মেট্রিকটন আলু হচ্ছে বলে জানান তিনি।