বিডি নীয়ালা নিউজ(১৮জানুয়ারি১৬)- নিজস্ব প্রতিবেদনঃ বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৯২ শতাংশ বা ১৪ কোটি ৮০ লাখ মানুষ ইন্টারনেট সেবা থেকে বঞ্চিত বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সরকারের হিসাবের সঙ্গে দ্বিমত জানিয়ে বিশ্বব্যাংকের ‘ওয়ার্ল্ড ডেভেলপমেন্ট রিপোর্ট ২০১৬: ডিজিটাল ডিভিডেন্ডস’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
সংস্থাটির ভাষায়, দেশে ইন্টারনেট ইউজারের সংখ্যা এখন ৫ কোটি ৩৯ লাখ। ‘বাংলাদেশের ওই পরিমাণ মানুষ অফলাইনে থাকে’। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রকৃত ইন্টারনেট ইউজারের সংখ্যা ১ কোটি ২০ লাখ, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার মাত্র সাড়ে ৭ শতাংশ। আর ইন্টারনেট-বঞ্চিত একক জনগোষ্ঠীর দেশ হিসাবে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ৫ নম্বর।
এ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের দুটি ইতিবাচক দিকও উঠে এসেছে। বাংলাদেশে ফোনে কথা বলার খরচ বিশ্বের অন্যতম সর্বনিম্ন। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়, আর প্রথম স্থানে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় ফোন ব্যবহারের মাসিক খরচ ২ ডলারের কম। মুঠোফোনে কথা বলার ব্যয় সবচেয়ে বেশি ব্রাজিলে, ৪৮ ডলার। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের লোকবল সরবরাহের সম্ভাবনায় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সম্ভাবনার বিষয়টিও উঠে এসেছে প্রতিবেদনে।
ব্যবহারকারীর এ সংখ্যা নির্ধারণে বিশ্বব্যাংক ইন্টারনেট ব্যবহারকে অনলাইন ও অফলাইন—দুটি শ্রেণিতে ভাগ করেছে। সব সময়ই ইন্টারনেট ব্যবহার করে বা ব্যবহারের সুযোগ আছে, এমন ব্যবহারকারীদের অনলাইন শ্রেণিতে রাখা হয়েছে। আর কখনো ইন্টারনেট ব্যবহার করেননি, এমন ব্যবহারকারীদের অফলাইন শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের মোট জনসংখ্যা ৭৪০ কোটি। এর ৭০০ কোটিই মোবাইল প্রযুক্তির আওতায় আছে। সারা বিশ্বে অনলাইনে যুক্ত ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩২০ কোটি। এর মধ্যে উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করে ১১০ কোটি মানুষ। আর ইন্টারনেট-বঞ্চিত ‘অফলাইন’ জনগোষ্ঠী ৪০০ কোটি। এর মধ্যে একক দেশ হিসেবে ভারতে সবচেয়ে বেশি ১০৬ কোটি মানুষ অফলাইন বা ইন্টারনেট-বঞ্চিত।