বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন খাতে দক্ষ-আধা দক্ষ কর্মী নেওয়ার জন্য সার্বিয়াকে প্রস্তাব দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুসিকের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই প্রস্তাব দেন।বুধবার (১৩ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বেলগ্রেডে সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুসিকের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট কোভিড মহামারির চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বৈঠকে ড. মোমেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সাবেক যুগোস্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট জোসেপ ব্রোজ টিটোর মধ্যে ব্যক্তিগত বন্ধুত্বের কথা উল্লেখ করেন। বাংলাদেশ বর্তমানে শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে জানতে পেরে সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট উচ্ছ্বসিত হন।
সার্বিয়ার চলমান এবং উচ্চাভিলাষী উন্নয়ন কর্মসূচির জন্য বিশাল মানবসম্পদের প্রয়োজন বলে পর্যবেক্ষণ করে ড. মোমেন বাংলাদেশ থেকে আইটি পেশাজীবী, ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার প্রভৃতি খাতে দক্ষ ও আধা-দক্ষ কর্মী নেওয়ার প্রস্তাব দেন। সার্বিয়ান প্রেসিডেন্ট তার প্রস্তাবকে উষ্ণভাবে স্বাগত জানান। বাংলাদেশ থেকে শ্রম ও জনশক্তি নেওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য একটি প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়া তৈরির ওপর জোর দেন তিনি।
বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট তুলে ধরে ড. মোমেন বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমার জান্তার ওপর চাপ সৃষ্টি করতে সার্বিয়ার মতো বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের সমর্থন চান। সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুসিক এ বিষয়ে বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেন।
বৈঠকে ড. মোমেন সার্বিয়ান প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান, যা তিনি সানন্দে গ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকেও সার্বিয়া সফরের আমন্ত্রণ জানান।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেলগ্রেডে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন- ন্যামের ৬০তম বার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে ফাঁকে সার্বিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
ban/N