বাংলাদেশ বিশ্বে একটি শান্তির মডেল বলে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর পথ ধরে এমন পররাষ্ট্রনীতি করেছেন যে, সবসময় শান্তির অগ্রদূত হিসেবে তিনি বিবেচিত। পৃথিবীতে সংঘাত, যুদ্ধবিগ্রহ কামাতে শেখ হাসিনা প্রস্তাব দিয়েছেন এবং পৃথিবীর সব দেশ এটা গ্রহণ করছে।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে ইএটিএল ইনোভেশন হাব লিমিটেডের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্বদেশেও চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চল ও প্রতিবেশী দেশ ভারত, মিয়ানমার সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সবগুলো সমস্যার সমাধান করেছেন। একটি গুলিও করা হয়নি আমাদের বর্ডারে। প্রধানমন্ত্রীর নীতি হচ্ছে, আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে যতদূর পারি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তাদের সাহায্য-সহযোগিতা আমরা করে যাচ্ছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় আমাদের ছেলে-মেয়েদের কীভাবে উদ্যোক্তা বানানো যায়, সেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কালিয়াকৈরে ইএটিএল ইনোভেশন হাব লিমিটেড সুন্দর প্রতিষ্ঠান তৈরি করছে। সেখানে কীভাবে মানুষকে সুযোগ-সুবিধা দেবে এবং উদ্যোক্তা তৈরি করবে সেটা নিয়ে কাজ করছে।
তিনি বলেন, মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট এসেছেন। আমরা তাদের বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছি, এতে তারা রাজি হয়েছেন। তাদের দেশে আমাদের কিছু ডাক্তার-নার্স চাচ্ছেন। ইতোমধ্যেই আমরা ৮০ জন নার্স দিয়েছি, তারা আরও চাচ্ছেন। মালদ্বীপ আমাদের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তারা আমাদের সাপোর্ট দেয় এবং আমরাও তাদের সাপোর্ট দেই। বিভিন্ন নির্বাচনে মালদ্বীপ আমাদের সবসময় সাপোর্ট দেয়। রোহিঙ্গা ইস্যুতে তারা সবসময় আমাদের সঙ্গে এক ও অভিন্ন। প্রধানমন্ত্রী মালদ্বীপে যাবেন, সে বিষয়ে শলাপরামর্শ হচ্ছে।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ইএটিএল ইনোভেশন হাব লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব মো. আবদুল করিম।
এতে বক্তব্য রাখেন—বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. বিকারণ কুমার ঘোষ, ইএটিএল ইনোভেশন হাব লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান, ইএটিএলের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার শরিফ শিবলী সাদিক, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ফিনান্সিয়াল সেক্টর স্পেশালিস্ট এ কে এম আব্দুল্লাহ।
পরে পরাষ্ট্রমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে ইএটিএল ইনোভেশন হাব লিমিটেডের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটির কর্মকর্তা, দেশের শীর্ষস্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।
ban/N