Panta_Ilish

বিডি নীয়ালা নিউজ(১৫ই এপ্রিল১৬)-অনলাইন প্রতিবেদনঃ  বাগেরহাটের কচুয়ায় উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে পান্তা-ইলিশ খেয়ে পুলিশ কর্মকর্তা ও সংবাদকর্মীসহ অন্তত অর্ধ শতাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত অন্তত ২৫ জনকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী মাহবুবুর রশিদ জানান, অনুষ্ঠানের খাবার একটি হোটেল থেকে আনা হয়েছিল। সেই খাবার খেয়ে কিছু লোক অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা দেবেন্দ্রনাথ হালদারকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন্য সদস্যরা হলেন- উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাস্বতী রানী ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

হাসপাতালে ভর্তি স্থানীয় সংবাদকর্মী জাহিদুল ইসলাম বুলু জানান,অনুষ্ঠানের খাবার খেয়ে অন্তত ৫১ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অসুস্থদের মধ্যে রয়েছেন- কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শমসের আলী, স্থানীয় সংবাদ কর্মী, শিক্ষক ও বিভিন্ন শ্রেণি- পেশার লোকজন। অনুষ্ঠানে খাবারের তালিকায় ছিল পান্তা-ইলিশ, ডাল ভর্তা ও আলু ভর্তা। এ খাবার খেয়ে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম। এরপর অবস্থার অবনতি হলে রাতেই হাসপাতালে ভর্তি হন।

কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া অসুস্থদের মধ্যে ২৪ জনের নাম পাওয়া গেছে। এঁরা হলেন স্থানীয় কলেজশিক্ষক বনি আমিন (৪৪), মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিরিনা খানম (৪৬), প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কমল কৃষ্ণ (৪০), সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম (৪২), ইউএনও কার্যালয়ের এমএলএসএস মহিদুল ইসলাম দিদার (৪৫), প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের এক কর্মকর্তার মেয়ে সাঈদা (৬), মো. দেলোয়ার হোসেন (৩৩), বর্ণালী হালদার (১৪), আল আমিন (২১), আল আমিন (৪৫), নূপুর (৪০), মিনা (৩৫), শামীমা (১৫), জোবেদা (৭৫), জেসিকা (১০), ফাহমিদা (৭), মফিজুল ইসলাম (৩৫), তানিম শিকদার (১০), মিম (১৩), মর্জিনা (৩৫), সৈকত (১৩), শাহীনুর (১২), শামিমা (১৫) ও সাঈদা (৬)।

এ স্থানীয় অপর সাংবাদিক নিয়াজ ইকবাল দম্পতি, ইউএনওর স্ত্রী, কচুয়া থানার চারজন পুলিশ সদস্যসহ আরও অন্তত ২৩ জন বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা তাপস দাস ও কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শমসের আলী বলেন, বৃহস্পতিবারের পান্তা ইলিশ অনুষ্ঠানে অংশ কয়েকজন ব্যক্তি ও পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালের বাইরে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, অসুস্থ ব্যক্তিরা পেটে ব্যথা, বমি ও পাতলা পায়খানার সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। লক্ষণ দেখে মনে হচ্ছে, তাঁরা খাদ্যে বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়েছেন। তাঁদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা ও স্যালাইনসহ ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। গতকাল গভীর রাত থেকে আসা এসব রোগীদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে