মোঃ আব্দুল মান্নান(বিশেষ প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারি) – নীলফামারির কিশোরগঞ্জেও দেশের অন্যান্য এলাকার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলছে সকল প্রকারের সবজির দাম।
উপজেলার বিভিন্ন বাজারে গিয়ে ক্রেতা সাধারন ও খুচরা সবজি দোকানদারদের সাথে খোজ নিয়ে জানা গেছে,দেশের অন্যান্য এলাকার সাথে এ উপজেলার বাজারগুলোতেও শাকসবজির দাম দিন দিন বেড়েই চলছে।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা শাকসবজি উৎপাদনে একটি অন্যতম পরিচিত এলাকা।এখানকার শাকসবজি এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য এলাকারও চাহিদা পূরন করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।আগাম আলু উৎপাদনেও এ উপজেলার নাম উল্লেখ করার মত।আগাম আলু বাজারে আসলেই মানুষ জেনে যায় কিশোরগঞ্জ উপজেলার নাম।অথচ সেই আলুরই দাম এলাকার বাজারে এখন প্রতি কেজি ৫০ টাকা।
অন্যান্য সবজীর মধ্যে বেগুন, কাকরোল, করলা, চালকুমরা, মুখীকচু, পটল সহ কোন সবজির দামই কেজিতে ৬০ টাকার নীচে নয়।শাক কিনতে গেলেও একই অবস্থা, ৪০/৫০ টাকার শাক কিনলেও এক সন্ধ্যা ভালোভাবে খাওয়া হয় না।সব শাকসবজির দামই এখন ক্রেতা সাধারনের নাগালের বাইরে। দাম আকাশচুম্বি হওয়ায় সবচেয়ে অসুবিধায় পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার।দাম বেশি হওয়ায় গুণতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন,বাজারে সরবরাহ কম। বেশি দামে কেনার কারণে কম দামে বেচতে পারি না।কিন্তু বাজারে পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও দাম কমছে না।বিশ্ব মহামারী করোনাকালীন দূর্যোগে নিম্ন আয়ের মানুষের নিকট এ যেন আর একটি মহা দূর্যোগ হয়ে এসেছে।